—প্রতীকী ছবি।
খালের ধারে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন এক তরুণী। স্থানীয়েরা ভেবেছিলেন তরুণী মারা গিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তরুণীর ‘দেহ’ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
তরুণীর ‘মৃত্যুর’ খবর পেয়ে তাঁর বাড়ির লোকেরাও ঘটনাস্থলে হাজির হন। তরুণীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন তাঁরা। পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে তরুণীকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে দেখেন তরুণীর হৃদ্স্পন্দন রয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার সময় তরুণীর জ্ঞান ফিরতে স্তম্ভিত হয়ে যায় পুলিশ এবং স্থানীয়েরা।
চিকিৎসকেরা তখন জানান, তরুণী জ্ঞান হারিয়েছিলেন। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে ‘মৃত’ বলে ভুল করেছিলেন স্থানীয়েরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর তরুণীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মির্জ়াপুরের।
পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর নাম রবিনা। সন্তনগর থানা এলাকার বাসিন্দা। গত রবিবার মির্জ়াপুরের সিরসি খালের ধারে ‘নিথর’ হয়ে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন স্থানীয়েরা। ফলে তাঁরা ভেবেছিলেন তরুণী মারা গিয়েছেন। তরুণীর পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাঁদের কন্যা মানসিক ভারসাম্যহীন। না জানিয়ে বাড়ি থেকে দিন কয়েক আগে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে সিরসি খালের ধারে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সন্তনগর থানার স্টেশন হাউস অফিসার অরবিন্দ সরোজ বলেন, “স্থানীয়রা আমাদের জানান, খালের ধারে একটি দেহ পড়ে আছে। সেই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মনে করা হয়েছিল জলে ডুবে তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। তার পরই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। ভাগ্যিস জানা গিয়েছিল যে, তরুণী বেঁচে আছেন। না হলে বড় বিপদ হতে পারত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy