অভিযুক্ত যুবতী পিঙ্কি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
হাওড়ার বালির নিশ্চিন্দার দুই বধূর কথা মনে আছে? বাড়িতে কাজ করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল দুই জায়ের। দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে মুম্বইয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন বালির ওই দুই গৃহবধূ। যদিও ধরা পড়ে গিয়েছিলেন সকলেই। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের সেই ঘটনা গোটা রাজ্যে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল।
বালির দুই গৃহবধূর মতোই ঘটনা প্রকাশ্যে এল আবার। তবে এ ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের নয়, এই রাজ্য থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে এ বার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে। এবং এই ঘটনায় শুধু প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েই যাননি যুবতী, কোটিপতি স্বামীকে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের কানপুর। অভিযুক্ত যুবতীর নাম পিঙ্কি।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১২ সালে রাজেশ গৌতম নামে কানপুরের সরকারি স্কুলের এক শিক্ষকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। শিক্ষকতার পাশাপাশি জমি-বাড়ির ব্যবসাও করতেন রাজেশ। শুধু তাই-ই নয়, তাঁর পৈতৃক সম্পত্তিও রয়েছে প্রচুর। রাজেশের নামে দেড় কোটি টাকা করে দু’টি বিমা রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে ৪৫ কোটি টাকার জমি। ২০২১ সালে কানপুরের কয়লা নগরে একটি আবাসন তৈরির কাজ শুরু করেন। সেই নির্মাণকাজের জন্য তাঁর পরিচিত এক রাজমিস্ত্রি শৈলেন্দ্র সোনকরকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কাজের সূত্রে প্রায়ই রাজেশের ঘরে যাতায়াত করতেন রাজমিস্ত্রি শৈলেন্দ্র। আর সেই সুবাদেই রাজেশের স্ত্রী পিঙ্কির সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর তা রাজেশের আড়ালেই।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, পিঙ্কি বিএড করেছিলেন। তাঁর সৌন্দর্যের প্রেমে পড়েন রাজমিস্ত্রি শৈলেন্দ্র। রাজেশের আড়ালেই তাঁদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু বিষয়টি যখন রাজেশ জানতে পারেন, তখন তিনি শৈলেন্দ্রকে কাজ থেকে সরিয়ে দেন। আর তার পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। পিঙ্কির দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু সেই সন্তান এবং স্বামীর ঘর ছেড়ে শৈলেন্দ্রর সঙ্গে ঘর বাঁধার পরিকল্পনা করেন পিঙ্কি। কিন্তু ‘পথের কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্বামী রাজেশ। পিঙ্কি চেয়েছিলেন স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর তিন কোটি টাকার বিমা দাবি করবেন। শুধু তাই-ই নয়, ৪৫ কোটি টাকা জমির মালিকানার অধিকারীও তিনি হবেন।
তাই স্বামীকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য সুপারি কিলারকে চার লক্ষ টাকা দেন পিঙ্কি এবং শৈলেন্দ্র। পুলিশ জানিয়েছে, সুপারি কিলার দিয়ে খুন করানোর আগে রাজেশের খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিলেন পিঙ্কি। কিন্তু সময় মতো হাসপাতালে ভর্তি করানোয় সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন। তার পর সুপারি কিলার দিয়ে খুন করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সুপারি কিলাররা টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
দু’বার বেঁচে ফেরায় তৃতীয় বার রাজেশকে খুনের পরিকল্পনা করেন পিঙ্কি এবং শৈলেন্দ্র। গত ৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৫টায় প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন রাজেশ। সেই সময় তাঁকে গাড়ি চাপা দিয়ে খুন করানো হয় বলে অভিযোগ। তার পর থেকেই পুলিশ পিঙ্কি এবং শৈলেন্দ্রকে খুঁজছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy