ছবি: পিটিআই।
কোথায় সমস্যা তৈরি হল? কেনই বা আবার থমকে গেল উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গের উদ্ধারের কাজ? উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী জানিয়েছেন, অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই উদ্ধারকাজ। শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে আর মাত্র কয়েক মিটার বাকি, কিন্তু তার আগেই আটকে গিয়েছে খননযন্ত্র অগার।
মুখ্যমন্ত্রী ধামী জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গের ভিতরে অগার যন্ত্র দিয়ে ৪৮ মিটার খনন করে ঢোকা সম্ভব হয়েছে। এখনও বাকি ১২-১৪ মিটার। কিন্তু এই অল্প দূরত্ব অতিক্রম করতে পদে পদে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। যার জেরে বার বার থমকে যাচ্ছে উদ্ধারকাজ। কিন্তু কেন আটকে গেল খননযন্ত্র? এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গের ভিতরে যে লোহার মোটা মোটা বিম রয়েছে, সেগুলি খননযন্ত্রের ব্লেডে জড়িয়ে গিয়েছে। যার ফলে সেই ব্লেডগুলি ভেঙে গিয়েছে। এখন সেই ব্লেডগুলিকে প্লাজ়মাকাটার দিয়ে কেটে বার করার কাজ চলছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, অগার যন্ত্রের সেই ব্লেডের ২৩ মিটার অংশ কেটে বার করা হয়েছে। এখনও ২৫ মিটার কেটে বার করা বাকি রয়েছে। রবিবার সকালের মধ্যে বাকি অংশটুকু কেটে বার করে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ধামী। তার পর শাবল, গাঁইতি দিয়েই বাকি অংশ খোড়ার কাজ শুরু হবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাকে জানিয়েছেন, ঠিক মতো খাবার পাচ্ছেন তাঁরা। চিন্তা করার কারণ নেই বলেও তাঁরা জানিয়েছেন। তাঁরা যাতে দ্রুত বেরিয়ে আসতে পারেন, সেই প্রার্থনাও করছেন।” তিনি আরও জানিয়েছেন, প্লাজ়মাকাটারের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু যন্ত্র আনানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।প্রসঙ্গত, গত ১২ নভেম্বর উত্তরকাশী জেলার ব্রহ্মতাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওের মধ্যে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ ধসে পড়ে। সুড়ঙ্গটি সাড়ে আট মিটার উঁচু এবং প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ। ভাঙা সুড়ঙ্গের ভিতরেই প্রায় ৬০০ মিটার ধ্বংসস্তূপের পিছনে আটকে পড়েন সুড়ঙ্গে কর্মরত ৪১ জন কর্মী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy