রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি বিদিশা মৈত্র। ছবি সৌজন্য টুইটার।
মাত্র ৫০ মিনিটের বক্তৃতা আর পাঁচটা প্রশ্ন, তাতেই পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের ফার্স্ট সেক্রেটারি বিদিশা মৈত্র। শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ভারতকে আক্রমণের জবাব যে ভাবে দিলেন এই কূটনীতিক, তা দেখে গোটা দেশ মুগ্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁকে নিয়ে।
কে এই বিদিশা মৈত্র?
ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস-এর ২০০৯ ব্যাচের ক্যাডার বিদিশা। ২০০৮-এ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা পাশ করেন। সারা দেশের মধ্যে ৩৯ র্যাঙ্ক করেছিলেন তিনি। ২০০৯-এ বিদেশ মন্ত্রকের ‘বেস্ট অফিসার ট্রেনি’ হিসেবে গোল্ড মেডেল পান। ‘পারমানেন্ট মিশন অব ইন্ডিয়া টু দ্য ইউএন’-এর সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের কনিষ্ঠতম সদস্য বিদিশা। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারত কোন বিষয়গুলি তুলবে তা দেখার দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভা থেকে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অতএব তার জবাব দিতেই হত কূটনৈতিক ভাবে! আর সেই জবাব দেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছিলেন বিদিশা। মাত্র ৫০ মিনিট সময় নিয়েছিলেন তিনি পাকিস্তানের সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য। আর সেই সময়ে মাত্র পাঁচটা প্রশ্নবাণ ছুড়ে দিয়েছেন পাকিস্তানের দিকে। যা শুনে গোটা দেশ মুগ্ধ। পাকিস্তানের কাছে তাঁর প্রশ্ন ছিল, রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকায় থাকা ১৩০ জন জঙ্গি যে তাদের দেশেই রয়েছে সেটা কি অস্বীকার করতে পারবেন ইমরান? বিশ্বের একমাত্র সরকার যারা রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা আল-কায়দাকে পেনশন দেয়, পাকিস্তান কি অস্বীকার করতে পারবে এটা?
‘Rarely has the #UNGA witnessed such misuse, rather abuse, of an opportunity to reflect.’ Here’s Indian MEA First Secretary Vidisha Maitra exercising India’s right to reply to @ImranKhanPTI’s juvenile, dangerous and terror-endorsing speech: pic.twitter.com/c3pt2D8jJk
— Shiv Aroor (@ShivAroor) September 28, 2019
আরও পড়ুন: ইমরানের বক্তৃতা প্ররোচনামূলক, ঘৃণায় ভরা, কড়া প্রতিক্রিয়া ভারতের
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারত-বিদ্বেষে ঠাসা বক্তৃতায় ইমরানের মুখে পরমাণু যুদ্ধ
ইমরানের ভাষণ প্রসঙ্গে বিদিশা আরও বলেন, “এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক যে, পাক প্রধানমন্ত্রী গোটা বিশ্বকে আড়াআড়ি ভাবে ভাগ করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমরা-ওরা, ধনী-গরিব, উত্তর-দক্ষিণ, উন্নত-উন্নয়নশীল এবং মুসলিম-অন্যান্য। তাঁর এই ভাষণ প্ররোচনামূলক। ঘৃণায় ভরা।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চকে অন্যায় ভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন ইমরান। যে ধরনের শব্দ ইমরান প্রয়োগ করেছেন, তার মধ্য দিয়েই তাঁর মধ্যযুগীয় মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে। যা একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে একেবারেই অনভিপ্রেত।”
ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ তুলেছেন ইমরান, সেই হাতিয়ারেই রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে তাঁকে বিদ্ধ করেছেন বিদিশা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যে দেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা শোচনীয়, তারা কী ভাবে ভারতকে মানবাধিকারের পাঠ পড়াতে আসছে!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy