দাউদ ইব্রাহিম এবং ইকরা কুরেশি।
মুম্বইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ড বললেই দাউদ ইব্রাহিমের নামটাই আগে উচ্চারিত হয়। এক সময় শহরের যে সব এলাকায় দাউদের দাদাগিরি চলত, মুম্বইয়ের সেই ডোংরি এলাকা এখন সামলাচ্ছেন বছর বাইশের এক তরুণী। এই এলাকা থেকেই গোটা মুম্বইয়ে নেটওয়ার্ক চালান তিনি।
নাম ইকরা কুরেশি। মুম্বইয়ের যে এলাকা থেকে অপরাধ জগতের নেটওয়ার্ক পরিচালনা করা হয়, ইকরা সেই এলাকাতেই মাদকের ব্যবসা করে নিজের প্রাধান্য বিস্তার করেছেন। ওই এলাকার ‘ড্রাগ কুইন’ বলা হয় ইকরাকে।
দাবি করা হয়, ইকরার বছর পাঁচেকের একটি সন্তান আছে। তাঁর বিরুদ্ধে কেউ যদি কোনও কথা বলেন, তা হলে তাঁর উপর হামলা চালাতে দ্বিধা করেন না ইকরা। অনলাইনে মাদকের ব্যবসা চালান ইকরা। ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে মাদকের কারবার চালান তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে নতুন গ্রাহক জোগাড় করেন। তার পর তাঁর কাছে মহিলাদের মাধ্যমে মাদক পৌঁছে দেন তিনি। ইকরার মাদক নেটওয়ার্ক চালানোর জন্য মহিলাদের একটি দল রয়েছে। যাঁরা মুম্বইয়ের বার এবং ডিস্কোতে মাদক সরবরাহ করেন।
পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য একটা ফোন ২-৪ দিনের বেশি ব্যবহার করেন না ইকরা। মাদকের চুক্তি হয়ে যাওয়ার পরই সেই ফোন বাতিল করে দেন। নতুন কোনও চুক্তির জন্য আবার নতুন ফোন এবং নম্বর ব্যবহার করেন। ফলে মুম্বইয়ের মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেও (এনসিবি) ইকরার গতিবিধি নজর রাখতে সমস্যায় পড়তে হয়।
ইকরার নাম প্রকাশ্যে আসে ২০২১-এর মার্চে। এনসিবি গোপন সূত্রে খবর পায় ডোংরি এলাকায় হাজিম কসমে এক মাদক পাচারকারী রয়েছে। পুলিশ অভিযান চালাতেই ৫২ গ্রাম মাদক-সহ ধরা পড়েন ইকরা। গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না পুলিশের খাতায়।
চরস, এমডি এবং এলএসডি বড় সরবরাহকারী ইকরা। ডোংরি এলাকায় তাঁকে ‘লেডি ডন’ এবং ‘ড্রাগ কুইন’ও বলা হয়। ইকরার গতিবিধির উপর এনসিবি নজর রাখত। ইকরাও এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের গতিবিধির উপর নজর রাখতেন। তিনি কখন অফিস যাচ্ছেন। কোথায় যাচ্ছেন, কত জন লোক তাঁর সঙ্গে রয়েছেন, কাদের সঙ্গে দেকা করছেন— সব ছিল ইকরার নখদর্পণে। এমনকি এনসিবি দফতরেও ছদ্মবেশে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। সোনু পাঠান এবং এজাজ সাইকো নামে দুই মাদর পাচারকারীকে এনসিবি গ্রেফতার করার পরই ইকরার নাম তদন্তকারীদের হাতে আসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy