কী ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে তবেই বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করানোর বদলে রোগীর হাসপাতালে যাওয়া উচিত। প্রতীকী ছবি।
করোনা হলেই অযথা ভয় পেয়ে হাসপাতালের বেডের জন্য তোড়জোড় করার প্রয়োজন নেই। গত কয়েকদিন ধরে এ কথা বারবার বলেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। তবে করোনা হলে কখন হাসপাতালে যাওয়া দরকার তার একটি সুস্পষ্ট নির্দেশিকা বুধবার প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত ওই নতুন নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে কোন পরিস্থিতিতে, কী ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে তবেই বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করানোর বদলে রোগীর হাসপাতালে যাওয়া উচিত।
১। করোনা সংক্রমণের নতুন স্ফীতি চলাকালীন উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গের রোগীদের বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাড়িতে থাকাকালীন যদি রোগীর তিনদিনের বেশি ১০০-র উপর জ্বর থাকে এবং সেই জ্বর নামতে না চায় তবে বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন।
২। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বড় উপসর্গ ছিল শ্বাসকষ্টের সমস্যা। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে শ্বাসনিতে অসুবিধা বোধ করলে এবারও হাসপাতালে যাওয়াই শ্রেয়।
৩। কোভিড রোগীদের অক্সিজেনের মাত্রায় নিয়মিত নজর রাখার কথা বলা হয়েছে নতুন নির্দেশিকায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে ঘরের পরিবেশে যদি এক ঘণ্টার মধ্য়ে তিনবার রোগীর অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩ শতাংশের কম আসে, তবে বিষয়টি চিন্তার।
৪। খেয়াল রাখতে হবে শ্বাস-প্রশ্বাসের হারে। মিনিটে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাত্রা ২৪-এর বেশি হলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
৫। শরীরের ব্যথা যদি কমতে না চায় বা করোনায় আক্রান্ত রোগী যদি বুকে অবিরত চাপ অনুভব করতে থাকেন।
৬। বিচার বিবেচনায় অসংলগ্নতা দেখা গেলে বা মানসিক বিকার দেখা গেলেও রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরি।
৭। রোগীর যদি উঠে বসতে বা দাঁড়াতে সমস্যা হয়, যদি পেশিতে অত্যন্ত ব্যথা থাকে তবে
৮। শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ থাকলেও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy