‘বন্দে ভারত’ ট্রেন। ছবি: টুইটার।
রোমানিয়া থেকে উড়িয়ে আনা হচ্ছে ‘বন্দে ভারত’ ট্রেনের চাকা। এই ট্রেনের চাকা আসার কথা ছিল ইউক্রেন থেকে। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে এই চাকাগুলি আনা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই ইউক্রেন থেকে ‘বন্দে ভারত’ ট্রেনের চাকা স্থলপথে রোমানিয়ায় পাঠানো হয়। এর পর রোমানিয়া বিমানবন্দর থেকে একটি বিমান ট্রেনের চাকা নিয়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা দেয়।
সূত্রের খবর, কিভ-মস্কো সঙ্ঘাতের আবহে ইউক্রেন থেকে চাকা সংগ্রহ করতে দেরি হওয়ায় এই ট্রেনের পরীক্ষামূলক চলাচলে দেরি হচ্ছিল। তাই যাতে আর দেরি না হয়, তাই রোমানিয়া থেকেই নিয়ে আসা হচ্ছে ট্রেনের চাকা ।
সূত্র অনুযায়ী আরও জানা গিয়েছে, এপ্রিল মাসের শেষে পরীক্ষামূলক ভাবে এই ট্রেন চালানোর কথা ছিল। তবে এখন অগস্ট মাসের শেষে এই ট্রেন পরীক্ষামূলক ভাবে চালানো হবে বলেও সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, তিন দফায় এই চাকাগুলি চেন্নাই বিমানবন্দরে এসে পৌঁছবে। ইতিমধ্যেই বুধবার ৪২টি চাকা চেন্নাই বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে। বাকি চাকাগুলি শুক্রবার এবং শনিবার চেন্নাই বিমান বন্দরে এসে পৌঁছনোর কথা।
চেন্নাই থেকে এই চাকাগুলি ‘বন্দে ভারত’ ট্রেনের নির্মাণকারী সংস্থা মেধা সার্ভো ড্রাইভ-এর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাঁর বাজেট বক্তৃতায় ঘোষণা করেন যে, ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে মোট ৪০০টি ‘বন্দে ভারত’ ট্রেন তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ঘোষণা করেছিলেন যে, ২০২৩ সালের স্বাধীনতা দিবসের মধ্যে ভারতে ৭৫টি বন্দে ভারত ট্রেন চালানো হবে। ২০১৯ সালে ভারতে উচ্চ গতি সম্পন্ন এই ট্রেন প্রথমবার চালু করা হয়। বিশেষ সুবিধাযুক্ত এই ট্রেন এখনও পর্যন্ত শুধু দিল্লি-বারাণসী এবং দিল্লি-কাটরা রুটে চলাচল করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy