বিয়ের কার্ড মানেই শুরুতে থাকবে গণেশ বা বিষ্ণু বন্দনা, এরপর পাত্র-পাত্রীর পরিচয়, মাঙ্গলিক সব চিহ্ন। ভারতীয় বিয়ের এমন কার্ড দেখতেই অভ্যস্ত আমরা। তবে দেশে মোদী হাওয়ায় যখন সব কিছুই উল্টে-পাল্টে যাচ্ছে তখন বিয়ের কার্ডই বা বাদ যায় কেন? আর তাই বিয়ের কার্ডেও এখন শুধু মোদীর স্বচ্ছ ভারতেরই বন্দনা। অভিনব এই কার্ডই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
কার্ডের বাঁ দিকে রয়েছে স্বাচ্ছ ভারত অভিযানের লোগো। নীচে লেখা,
মেরা সপনা ঘর পরিবার কা সপনা/শৌচালয় উপযোগ হি, সম্মান হে আপনা (আমার স্বপ্ন, ঘর পরিবারের স্বপ্ন/শৌচালয়ের ব্যবহারেই আমাদের সম্মান)
জন-জন কা হ্যায় বাস এক হি সপনা/খুলে মে শৌচ মুক্ত হো ভারত আপনা (সকলেরই একটাই স্বপ্ন/ভারত হোক খোলা স্থানে শৌচ মুক্ত দেশ)
জন-জন কি হ্যায় জিম্মেদারি/ঘর ঘর শৌচালয় হি সমঝদারি (প্রত্যেকের রয়েছে দায়িত্ব/প্রতি ঘরে শৌচালয়ই বুদ্ধিমানের কাজ)
এর পরে রয়েছে
ঘর মহকেগা, পরিবার মহকেগা/বেটি পড়ায়গা, ঘর মহকেগা (ঘর উন্নত হবে, পরিবার উন্নত হবে/মেয়ে পড়বে, ঘর উন্নত হবে)
এই ভাবেই পুরো কার্ড জুড়ে রয়েছে মোদীর বিভিন্ন স্লোগান। পাত্র-পাত্রীর নামের পাশে রয়েছে তাদের সম্পূর্ণ জন্ম তারিখ। যা স্পষ্ট করছে পাত্রের বয়স ২১ ও পাত্রীর বয়স ১৮। অর্থাত্, দুজনেরই আইনত বিয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে। বিয়ের কার্ডের শেষেও রয়েছে সেই বার্তা।
বাল বিবাহ, অভিশাপ হি নহি/কানুনন অপরাধ ভি হ্যায় (বাল্য বিবাহ শুধু অপরাধ নয়/আইনের চোখে অপরাধও)
২৯ এপ্রিল রাজস্থানের ঝালওয়ার জেলায় হতে চলেছে বিয়ে। জানা গিয়েছে, বরের কাকা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য রামবিলাস মীনার আগ্রহেই এমন কার্ড। এই কার্ডের মাধ্যমেই গ্রামের সব বাড়িতে শৌচালয় গড়ার সচেতনতা গড়ে তুলতে চেয়েছেন তিনি।
তবে এই প্রথম নয়। চলতি মাসের শুরুর দিকেই নিজের বোনের বিয়ের কার্ড টুইট করেছিলেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা আকাশ জৈন। সেই কার্ডেও ছিল স্বচ্ছ ভারতের লোগো। মোদী শুধু সেই কার্ড রিটুইটই করেননি, আকাশকে ফলোও করতে শুরু করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy