গুলমার্গ। ছবি: পিটিআই।
চড় চড় করে পারদ নামছে উত্তরের রাজ্যগুলিতে। শুরু হয়েছে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ। মাইনাসে নেমে গিয়েছে শ্রীনগরের তাপমাত্রা। প্রবল ঠান্ডায় কাঁপছে দিল্লি ও রাজস্থানও।
দীর্ঘ আট বছর পর বুধবার জম্মু-কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরের তাপমাত্রা মাইনাস ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। এর আগে ২০১২ সালের ১৪ জানুয়ারি পারদ এতটা নেমেছিল এই শহরে। প্রবল ঠান্ডা থাবা বসিয়েছে রাজ্যের বাকি অঞ্চলেও। অমরনাথ যাত্রা যেখান থেকে শুরু হয়, সেই পহেলগাম অঞ্চলে মঙ্গলবারের তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার তা মাইনাস ১১.৭ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছে। যা গোটা রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে কম বলেই আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর। উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলাতেও তাপমাত্রা মাইনাস ৫.৬ ডিগ্রি। অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগে তা পৌঁছেছে মাইনাস ৯.৯ ডিগ্রিতে।
এই রাজ্য এখন ‘চিল্লাই-কালান’-এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বলে জানান আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকেরা। প্রায় ৪০ দিন ধরে চলা এই সময়কালে এক ধাক্কায় পারদ অনেকটাই নেমে যায় এই অঞ্চলে। যার জেরে চলে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ। এ বছর এই সময় শুরু হয়েছে গত ২১ ডিসেম্বর থেকে। আনুমানিক ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই পর্ব চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে হঠাৎ এই তাপমাত্রা পতনের জেরে জল সরবরাহের পাইপ জমে গিয়েছে অনেক জায়গায়। পুরু বরফের আস্তরণ পড়েছে কাশ্মীরের অন্যতম আকর্ষণ ডাল লেক-সহ বহু জলাসয়ে। পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে ভারী তুষারপাতও।
আরও পড়ুন: আইনের কপি পুড়িয়ে ‘লোহরি’ অনড় চাষিদের
আরও পড়ুন: ‘পরকীয়া অপরাধ’ বহাল থাক সেনায়, বেঞ্চ গঠনে প্রধান বিচারপতিকে আর্জি
মাইনাসের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে মরু রাজ্য রাজস্থানের বহু এলাকার তাপমাত্রাও। এখানকার গঙ্গানগরে বুধবার পারদ নেমে যায় ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা গোটা রাজ্যে সর্বনিম্ন। পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে বেশির ভাগ জায়গাতেই তাপমাত্রা পাঁচ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছে। এ দিন সীকর, ভীলওয়াড়া, চুরু, পিলানি, চিত্তৌরগড় এবং অজমেরের তাপমাত্রা যথাক্রমে ১.৫, ১.৮, ২.২, ২.৯, ৩.৫ এবং ৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অলওয়ার, ভীলওয়াড়া, চিত্তৌরগড়, ঝুনঝুনু এবং সীকারে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহের আগাম সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
হিমালয় থেকে হিমশীতল হাওয়া বয়ে আসার কারণে প্রবল ঠান্ডা জাঁকিয়ে বসেছে রাজধানী দিল্লিতেও। বুধবার এখানে সর্বনিম্ম তাপমাত্রা নেমে আসে ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা স্বাভাবিকের চেয়ে চার ডিগ্রি কম। কুয়াশা ঘেরা শহরে ব্যহত হয় ট্রাফিক পরিস্থিতিও। আগামী দু’দিনও এখানে শৈত্যপ্রবাহ চলবে বলেই আবহাওয়া দফতরের সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy