প্রতীকী ছবি।
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে একাদশ শ্রেণিতে বাড়ল ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির সংখ্যা। মাধ্যমিকে যে সংখ্যক পড়ুয়া পাশ করেছে, তার থেকে অনেক বেশি পড়ুয়া ভর্তি হল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অধীন স্কুলগুলির একাদশ শ্রেণিতে। সিবিএসই এবং আইএসসি বোর্ড থেকেও বহু সংখ্যক পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে বলে দাবি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা সব সময় চেষ্টা করেছি শিক্ষা ব্যবস্থাকে সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। ভারতের মধ্যে প্রথম আমরা স্কুল বোর্ডে সিমেস্টার পদ্ধতি চালু করেছি। এই নয়া পদ্ধতিতে আকর্ষিত হয়ে অন্যান্য বোর্ড থেকে ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।’’
উল্লেখ্য, মাধ্যমিকে যত সংখ্যক পরীক্ষার্থী পাশ করে, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ভর্তি হওয়ার সময় সেই সংখ্যা ১০ থেকে ১২ শতাংশ কমে যায় প্রত্যেক বছর। ব্যতিক্রমী হল এ বছর। যত সংখ্যক পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পাশ করেছে তার থেকে বেশি পড়ুয়া ভর্তি হল উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে। শুধু তা-ই নয়, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে রাজ্য সরকারের শিক্ষা সংসদের অধীনে সিবিএসই ও আইএসসি বোর্ডের তরফ থেকে কয়েক হাজার পড়ুয়া রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে সম্প্রতি। যে পরিসংখ্যান অবাক করছে শিক্ষা সংসদকে। সব থেকে বেশি অন্য বোর্ড থেকে পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কলকাতার স্কুলগুলিতে। খবর, যাদবপুর বিদ্যাপীঠে অন্য বোর্ড থেকে ভর্তি হয়েছে প্রায় ১৫ জন। কমবেশি বহু স্কুলে এই চিত্র দেখা গেছে। জেলার ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যানটা অনেকটা বেশি।
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, ‘‘সম্প্রতি সর্বভারতীয় স্তরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ যে ভাবে সিলেবাস এবং পরীক্ষা ব্যবস্থার ও পরিবর্তন করেছে, তার ফলস্বরূপ পড়ুয়াদের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই ড্রপ আউটের জায়গায় ভর্তির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।’’
শিক্ষা সংসদ সূত্র জানাচ্ছে, অন্যান্য বোর্ড থেকে যেমন ছাত্র-ছাত্রীরা এ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, তেমনই, পুরনো পদ্ধতিতে যারা আগে ফেল করেছিল তারাও নতুন করে এই নয়া (সিমেস্টার) পদ্ধতিতে নাম নথিভুক্তকরণ করেছে। এ বছর প্রথম ফেল করা পরীক্ষার্থীদের পুনরায় রি-অ্যাডমিশনের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে।
এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মোট ৯,১০,৫৯৮। এর মধ্যে ৪,০৩,৯০০ জন ছাত্র এবং ৫,০৮,৬৯৮ জন ছাত্রী। অর্থাৎ ছাত্রদের তুলনায় ২৫.৯ শতাংশ বেশি ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৭,৬৫,২৫২ জন। আর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে এর থেকে অনেক বেশি পড়ুয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy