Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National News

ভারতের মতো সীমান্ত-বিপদ আর কারও নেই, বললেন বায়ুসেনাপ্রধান

চিন আর পাকিস্তান। দু’টি দেশের সঙ্গেই রয়েছে ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্ত আর তার এলাকা নিয়ে রয়েছে মতবিরোধও।

ভারতের বায়ুসেনাপ্রধান বি এস ধানোয়া। ছবি সংগৃহীত।

ভারতের বায়ুসেনাপ্রধান বি এস ধানোয়া। ছবি সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৭:০৬
Share: Save:

সীমান্তে ভারতের চেয়ে বেশি বিপদে নেই আর কোনও দেশ। পরমাণু অস্ত্রে শক্তিশালী দু’-দু’টি দেশ ভারতের প্রতিবেশী। চিন আর পাকিস্তান। দু’টি দেশের সঙ্গেই রয়েছে ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্ত আর তার এলাকা নিয়ে রয়েছে মতবিরোধও। তাই প্রতিবেশীদের নিয়ে ভারতের উদ্বেগ অন্য দেশগুলির তুলনায় অনেকটাই বেশি।

বুধবার এ কথা বলেছেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বি এস ধানোয়া। তাঁর কথায়, ‘‘চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিমুখী যুদ্ধের সম্ভাবনা নিয়ে আমাদের ভাবতে হয়। তাদের প্রস্তুতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। কখন তাদের মতিগতি বদলে যাবে, বলা যায় না। তাই ওই প্রতিবেশীদের সামরিক প্রস্তুতির সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখাটা আমাদের পক্ষে খুব জরুরি।’’

কেন ফ্রান্সের কাছ থেকে অত দাম দিয়ে ‘রাফাল’ যুদ্ধবিমান ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারির আশঙ্কা সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে ‘এস-৪০০’ মাটি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা কেনার দিকে এগোচ্ছে ভারত, তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়েই বায়ুসেনাপ্রধান এ দিন ওই মন্তব্য করেছেন।

আরও পড়ুন- আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতের বৃহত্তম রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য​

আরও পড়ুন- নৌসেনার হাতে তৃতীয় স্করপেন, ক্রমশ বাড়ছে সাবমেরিন বহর​

ধানোয়ার কথায়, ‘‘অনেকেই প্রশ্ন করেন, আমাদের তো পুরনো ‘মিগ-২১’ যুদ্ধবিমানের ৪২টি স্কোয়াড্রন রয়েছে। তা হলে নতুন যুদ্ধবিমানের দরকারটা কী? ওঁরা বুঝতে চান না, আমাদের প্রতিবেশীরা কেউই হাত গুটিয়ে বসে নেই। পাকিস্তান তাদের ‘এফ-১৬’ যুদ্ধবিমানগুলিকে আরও উন্নত করেছে। ঢেলে সাজিয়েছে ওই বিমানগুলির ইলেকট্রনিক ব্যবস্থাকে। সেগুলিকে আগামী সাড়ে ৪ প্রজন্মের মানে উন্নত করে তুলেছে। তারই সঙ্গে চিনের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে নিচ্ছে ‘জেএফ-১৭’ যুদ্ধবিমান।’’

পরমাণু অস্ত্রে শক্তিশালী অন্য প্রতিবেশী চিন কী ভাবে তার আকাশে লড়ার বিমান, অস্ত্র ও সরঞ্জামকে উন্নত করে চলেছে, তাও ব্যাখ্যা করেন ভারতের বায়ুসেনাপ্রধান।

ধানোয়া বলেন, ‘‘চিনও খুব দ্রুত তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের যুদ্ধবিমানগুলিকে চতুর্থ প্রজন্মের প্রযুক্তিতে উন্নত করে ফেলছে। বানাচ্ছে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান, যেগুলি খুব শীঘ্রই চিন তার বিমানবাহিনীতে নিয়ে আসবে। ফলে, সীমান্তে আমাদের উদ্বেগটা বেড়ে গিয়েছে।’’

৩৬টি ফরাসি ‘রাফাল’ যুদ্ধবিমান ও রুশ ‘এস-৪০০’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা ভারতীয় বিমানবাহিনীতে এলে দুই শক্তিধর প্রতিবেশীর কাছ থেকে সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলার জন্য অন্তত প্রস্তুত থাকা যাবে, এমনটাই দাবি বায়ুসেনাপ্রধান ধানোয়ার।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE