খরা কবলিত এলাকায় জলকষ্ট মেটাতে মহারাষ্ট্রের লাতুরে পানীয় জল পাঠাবে রেল মন্ত্রক। চার বছর ধরে প্রায় বৃষ্টি না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্র সরকার ইতিমধ্যেই লাতুর জেলাকে খরাপ্রবণ এলাকা বলে ঘোষণা করেছে। এই অবস্থায় বাইরে থেকে পানীয় জল এনে অবস্থা কিছুটা সামাল দিতে রেলকে অনুরোধ জানিয়েছিল মহারাষ্ট্র সরকার। রাজ্যের ওই অনুরোধেই রেল মন্ত্রক পানীয় জল পাঠানোর ব্যবস্থা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে দু’টি স্টিল ট্যাঙ্কারের মালগাড়ি (১০০ ট্যাঙ্কার) জল পাঠানোর কাজে ব্যবহার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে রেল মন্ত্রক।
পর পর চার বছর ছিটেফোঁটাও বৃষ্টি হয়নি। সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে নিত্যদিনের তাপমাত্রাও। ফলে যে জলসঙ্কট ছিল, সেটাই এ বছর আরও মারাত্মক আকার নিয়েছে। মহারাষ্ট্রের গোটা মরাঠওয়াড়া এলাকা জুড়েই তীব্র জলসঙ্কট। পানীয় জলের হাহাকার ক্রমশ বাড়তে থাকায় ওই এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন বাসিন্দাদের একাংশ। বিশেষ করে কর্মসূত্রে যাঁরা বাইরে যাওয়া-আসা করেন তাঁদের অনেকেই অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন
বুলেট না হোক, মোদীর মুখ রাখতে সেমি-বুলেট ট্রেন কাল
খরা কবলিত মহারাষ্ট্রের ওই এলাকাগুলির কথা মাথায় রেখেই রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু আপাতত ওই দু’টি মালগাড়ি (মোট ১০০টি জলের ট্যাঙ্কার) আপাতত ওখানেই রাখা হবে জানিয়ে দিয়েছেন। রেল সূত্রের খবর, ওই দু’টি রেকের একটিকে ইতিমধ্যেই কোটা ওয়ার্কশপে পাঠিয়ে স্টিম দিয়ে পরিষ্কার (জীবাণুমুক্ত) করার কাজ শেষ করা হয়েছে। আগামী ৮ এপ্রিল ৫০ ট্যাঙ্কারের একটি মালগাড়ি জল আনতে যাবে। পরের রেকটিও পানীয় জল আনার জন্য আগামী ১৫ এপ্রিলের পরে প্রস্তুত হয়ে যাবে। মালগাড়ি দু‘টি আপাতত ওই এলাকার সোলাপুর ডিভিশনে প্রায় ২৭৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জল সরবরাহ করবে। রেল সূত্রের খবর, এর আগে রাজস্থান সরকারের অনুরোধে অজমেঢ় ডিভিশনেও জল সরবরাহ করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, বর্তমানে ওই সব এলাকায় দৈনন্দিন ভাবে মানুষ পানীয় জল কিনে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন। ভূগর্ভে জলের স্তর নামতে নামতে ৬০০ ফুটেরও নীচে চলে গিয়েছে। বেশির ভাগ নলকূপ এমনকী গভীর নলকুপও শুকিয়ে গিয়েছে। খরা কবলিত এলাকায় বর্তমানে যা অবস্থা, তাতে দিনে একটি পরিবারকে শুধু রান্নার জন্য জল কিনতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৪০- ৫০ টাকার কাছাকাছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy