ছবি: শাটারস্টক থেকে নেওয়া।
‘আধুনিক পদ্ধতি’তে ঘুষ নিতে গিয়েসাসপেন্ড হয়ে গেলেন চার পুলিশ কর্মী। মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর অভিযোগেবেঙ্গালুরুতে কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়।অভিযোগ, সেই টাকা সরকারের খাতায় জমা না গিয়ে ঘুষ আকারে চলে যায় ট্রাফিক পুলিশদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে ঘুষ নেওয়ার এমন অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে বেঙ্গালুরু পুলিশ। সেখানে চার পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যায়। তদন্তে দেখা যায়, বেঙ্গালুরুতে অশোকনগর ট্রাফিক পুলিশ স্টেশনের চার কর্মী ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে ঘুষ নিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন, অ্যাসিট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর মুনিয়াপ্পা এবং তিন কনস্টেবল গঙ্গারাজ, নাগরাজ এবং হর্ষ।
জয়েন্ট কমিশনার অফ পুলিশ (ট্রাফিক) বি আর রবিকান্ত গৌড়া এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, “অভিযুক্তরা ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে টাকা নিয়েছেন। এমনকি ট্রাফিক নিয়ম না মানার বিষয়টি দেখার ডিউটিও তাঁদের ছিল না। অথচ তাঁরা মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর অভিযোগে অ্যালকোমিটার দিয়ে পরীক্ষাও করতেন। তাঁরা নিজেদের মতো করে ফাইন তুলছিলেন, আর সেই টাকা জমা হচ্ছিল তাঁদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে।তদন্তে উঠে এসেছে, তাঁরা এই কাজ অন্তত গত এক মাস ধরে করছিলেন।”
তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, ওই চার পুলিশকর্মী নিজেরাই তিনটি অ্যালকোমিটার জোগাড় করেছিলেন। সেই অ্যালকোমিটার দিয়ে, মদ্যপ ড্রাইভারদের ধরে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করেছিলেন তাঁরা। টাকা না দিলে গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার হুমকিও দেওয়া হত। কোনও কোনও ক্ষেত্রে তাঁরা নগদেও ঘুষ নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: অফিসে ‘ফাঁকি’ দিতে টয়লেটে ঝিমুনির দিন শেষ, আসছে এই নতুন কমোড
কিছু দিন আগে তাঁদের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর বিবেকানন্দ পুলিশ স্টেশনে জোর করে টাকা আদায় ও সরকারি পদের অপব্যহারের অভিযোগ দায়ের হয়। তারপর অভিযুক্তদের কাছ থেকে তিনটি অ্যালকোমিটার, ৩২ হাজার নগদ ও কিছু ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে চার পুলিশকর্মীকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy