প্রতীকী ছবি।
অপহৃত দুই স্কুল পড়ুয়ার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূট।
স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ১২ ফেব্রুয়ারি ওই দুই স্কুল পড়ুয়াকে অপহরণ করা হয়েছিল। গত শনিবার উত্তরপ্রদেশের যমুনা নদী থেকে তাদের হাত বাঁধা পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চিত্রকূট। পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। কয়েকটি জায়গায় উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর চালিয়েছে বলে খবর। কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে হয়েছে পুলিশকে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ঘটনার দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তাও উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।
যে এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করা হয়েছিল, সেখানে একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ অনেক আগেই পুলিশের হাতে এসেছে। তাতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, কালো কাপড়ে মুখ বাঁধা কয়েকজন ওই দুই স্কুল পড়ুয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। পরিবারের কাছে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়েও ফোন এসেছিল। কিন্তু শেষমেশ তা না নিয়ে অপহৃতদের খুন করা হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় যুক্ত থাকার সন্দেহে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। নিছক দ্রুত অর্থ উপার্জনের জন্য তারা অপহরণ করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দুবাইগামী বাংলাদেশি বিমান ছিনতাই? চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে উত্তেজনা
দুই স্কুল পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের পর থেকেই তুমুল বিক্ষোভের জেরে চিত্রকূটে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। যে স্কুলে ওই দু’জন ছাত্র পড়ত, তার আশেপাশে এবং থানার বাইরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান কংগ্রেস সরকারকে দোষারোপ করে বলেছেন, ‘‘বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই বিষয়টাকে গুরুত্ব দেননি। পুলিশও ঠিকমতো কাজ করেনি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিবর্তে রাজ্য সরকার সব সময় পুলিশ কর্তাদের বদলি নিয়েই ব্যস্ত ছিল।’’
আরও পড়ুন: পাকিস্তান একটা পরমাণু বোমা ফেললে ভারত ২০টা ফেলে ধ্বংস করবে: পারভেজ মুশারফ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy