অন্ধ্রপ্রদেশে একই পরিবারের তিন জনকে একসঙ্গে হত্যার অভিযোগ। —প্রতীকী চিত্র।
দাদু, বাবা এবং ছেলেকে একসঙ্গে খুন করা হল দীপাবলির রাতে। একসঙ্গে শেষ করে দেওয়া হল তিন প্রজন্মকে। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে পারিবারিক বিবাদ রয়েছে বলে আশঙ্কা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের কাকীনাড়া জেলার সলপাকা গ্রামের। নিহতেরা হলেন বাথুলা রমেশ, তাঁর পুত্র বাথুলা চিন্নি এবং নাতি বাথুলা রাজু। বৃহস্পতিবার রাতে কুপিয়ে তাঁদের খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা গিয়ে দেখে, বাড়ির সামনে ছড়িয়ে আছে তিন জনের রক্তাক্ত দেহ। তাঁদের হাতে ধারালো অস্ত্র ধরানো রয়েছে। দেহগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। সেগুলি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাথুলা পরিবারের সঙ্গে অন্য এক পরিবারের দীর্ঘ দিনের গোলমাল ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে সেই গোলমাল থেকে নতুন করে বচসা শুরু হয়। এক পক্ষের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে অন্য পক্ষ। বাথুলা পরিবারের তরফে কোনও অপমানজনক মন্তব্য করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তার পরেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অন্য পক্ষ। একসঙ্গে কুপিয়ে খুন করা হয় দাদু, বাবা এবং নাতিকে।
রাতেই ঘটনাস্থলে যান ডিএসপি বিক্রান্ত পাটিল-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। বিশেষ শাখার ডিএসপি রামকৃষ্ণ রাও বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, পুরনো পারিবারিক বিবাদের জেরে এই হত্যাকাণ্ড। তবে আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি।’’ ঘটনার পর ওই গ্রামে পুলিশি প্রহরা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। তা থেকে নতুন করে যাতে আর হামলা না হয়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর প্রশাসন।
এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের খোঁজ পায়নি পুলিশ। রাত থেকেই তাঁরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক দলও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy