পর পর চিতার মৃত্যুর জেরে বড় ধাক্কা প্রধানমন্ত্রী ‘মিশন চিতা’য়। — ফাইল ছবি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিদেশ থেকে এনেছিলেন চিতা। তাদের ছাড়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। গত দু’মাসে তার মধ্যে ছ’টি চিতার মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে প্রশাসন। কুলকিনারা খুঁজে পাচ্ছে না বন দফতরও। পর পর চিতার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন কুনোর জঙ্গলের আশপাশের গ্রামবাসীরাও।
মোদীর আনা চিতার সুস্বাস্থ্য কামনায় এ বার যজ্ঞের আয়োজন করলেন গ্রামবাসীরা। কারাহাল গ্রামে সমস্বরে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে যজ্ঞ হয়। গ্রামবাসীরা জোর দিয়েছেন, চিতার শারীরিক সুস্থতার উপর। তাদের দাবি, কুনোয় চিতার বসতি গড়ে উঠলে এই এলাকায় পর্যটনেরও উন্নতি হবে। বাইরে থেকে বহু মানুষ চিতা দেখতে আসবেন। ফলে আশপাশের গ্রামগুলিরও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। কিন্তু সবার আগে সে জন্য দরকার চিতার বেঁচে থাকা। কিন্তু গত দু’মাসে কুনোয় মৃত্যু হয়েছে ছ’টি চিতার। তার মধ্যে তিনটি চিতা মোদীর আনা। বাকি তিনটি চিতার শাবক।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর নামিবিয়া থেকে ভারতে আনা হয়েছিল চিতাটিকে। নাম দেওয়া হয় ‘জ্বালা’। ভারতে আনার পর গত মার্চে ৪টি শাবকের জন্ম দিয়েছিল স্ত্রী চিতা জ্বালা। তার মধ্যে ৩টি শাবকেরই মৃত্যু হয়। জীবিত শাবকটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় বলে জানা গিয়েছে। চলতি মাসের ৯ তারিখ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা মহিলা চিতা ‘দক্ষে’র মৃত্যু হয় কুনোয়। অনুমান, ফিন্ডা নামে একটি পুরুষ-চিতার আক্রমণেই তার মৃত্যু হয়। গত ২৭ মার্চ কুনোয় প্রথম মৃত্যু হয়েছিল নামিবিয়া থেকে আনা ৫ বছরের স্ত্রী-চিতা ‘শাসা’র। ২৪ এপ্রিল মারা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা পুরুষ-চিতা ‘উদয়’। মধ্যপ্রদেশ বন বিভাগের চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, কিডনিতে সংক্রমণের কারণে শাসার মৃত্যু হয়। অন্য দিকে উদয়ের মৃত্যুর কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, ‘কার্ডিয়ো পালমোনারি ফেলিওর’-কে। এর ফলে এখন কুনো জাতীয় উদ্যানে ১৭টি পূর্ণবয়স্ক চিতা এবং ১টি চিতাশাবক রইল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy