বেঙ্কাইয়া নায়ডু। —ফাইল চিত্র।
উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থীর দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু। শীর্ষ রাজনৈতিক সূত্রে আজ এ কথা জানা গিয়েছে।
সদ্য গতকালই নির্বাচন কমিশন উপরাষ্ট্রপতি পদের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে। রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থীর পরে এ বার অনায়াসে উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকেও জিতিয়ে আনতে পারবেন বলে মনে করছেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। রাজ্যসভায় শাসক গোষ্ঠী সংখ্যালঘু হলেও রাজ্যসভা এবং লোকসভা দু’টি কক্ষ মিলিয়ে এনডিএ-র শক্তি বিরোধী শিবিরের থেকে বেশি। জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩৮৮টি ভোট। আর এনডিএ-র পক্ষে রয়েছে ৪১৩টি। রাষ্ট্রপতি পদে যেমন বিধায়কদেরও ভোটাধিকার রয়েছে, উপরাষ্ট্রপতি পদে শুধু লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদরাই ভোট দিতে পারেন।
বিজেপি নেতারা মনে করছেন, মোদী-অমিত আসলে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের কথা মাখায় রেখেই অঙ্ক কষছেন। সে কারণে উত্তরপ্রদেশের দলিত নেতা রামনাথ কোবিন্দকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করা হয়েছে। উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য মোদী-অমিতের নজর দক্ষিণ এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর দিকে। দক্ষিণ বরাবরই বিজেপির দুর্বলতার জায়গা। গো-বলয়ের দল হিসেবে পরিচিত বিজেপি দ্রাবিড়ভূমে এখনও সে ভাবে দাগ কাটতে পারেনি। কর্নাটক দিয়ে দরজা খোলা হলেও পরে সেটি হাতছাড়া হয়ে যায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণে জোর দেওয়ার জন্য একটি দক্ষিণী মুখকে তুলে ধরা বিজেপির পক্ষে অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, এই অঙ্ক অনুযায়ী দৌড়ে এগিয়ে বেঙ্কাইয়া-ই।
আরও পড়ুন: নতুন চশমায় সড়গড় হতেও তো দিন দু’য়েক সময় লাগে: মোদী
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, নতুন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম নিয়ে চর্চার সময়েও বেঙ্কাইয়ার কথা উঠেছিল। কিন্তু অমিত শাহ সুকৌশলে প্রার্থী বাছাইয়ের সময়ে রাজনাথ সিংহ ও অরুণ জেটলির পাশাপাশি বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে বাছাই কমিটির সদস্য করে গোটা আলোচনাতেই জল ঢেলে দেন। তবে তার জন্য উপরাষ্ট্রপতি পদে বেঙ্কাইয়ার লড়াইয়ের সম্ভাবনা যে কমে যায়নি এমনটাই জানাচ্ছে রাজনৈতিক সূত্র। ‘দক্ষিণ-কৌশল’-এর অঙ্গ হিসেবে এর আগে ভাবা হচ্ছিল মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর রাওয়ের কথাও।
কিন্তু বিভিন্ন কারণে এগিয়ে বেঙ্কাইয়াই। তাঁর সঙ্গে বিরোধীদের সম্পর্ক ভাল। নরেন্দ্র মোদী তাঁর উপর আস্থা রাখেন। মোদীর স্বপ্নের প্রকল্প স্মার্ট সিটি-র ভার নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে বেঙ্কাইয়া এখনও পর্যন্ত ভালই সামলাচ্ছেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের গুরু দায়িত্বও তাঁর কাঁধে। তাঁকে শেষ পর্যন্ত উপরাষ্ট্রপতি করা হলে মন্ত্রিসভায় যে শূন্যতা তৈরি হবে, তা ভরাট করতে মোদী কী ব্যবস্থা নেন, তখন সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy