বডোদরায় নয়া ফরমান ঘিরে বিতর্ক। ছবি— শাটারস্টক।
রাস্তাঘাটে গরম গরম গলৌটি কাবাব, চিকেন তন্দুরি, পকোড়া খাওয়ার দিন শেষ। মোদী রাজ্যের বডোদরায় আসছে নয়া নিয়ম। সেই ফরমান বলছে, আমিষ খাবার প্রকাশ্যে ফেরি করলেই দিতে হবে জরিমানা। ছাড় একমাত্র নিরামিষে।
২০১৪ থেকেই আমিষ-নিরামিষ রাজনীতির উত্তাপ বাড়াচ্ছে। কখনও গো-মাংস আছে এই অভিযোগে গণপিটুনি, আবার কখনও আমিষ দ্রব্যের দোকান বন্ধ করতে গুন্ডামি। গত সাত বছরে ঘটে গিয়েছে অনেক কিছুই। আর সেই বদলে যাওয়া সংস্কৃতির অঙ্গ হিসেবে প্রশাসনিক নিয়ম কানুনেও এসেছে বদল।
তেমনই এক শহর গুজরাতের রাজকোট। সেই শহরের মেয়র সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, আমিষ দ্রব্য বিক্রির জায়গা চিহ্নিত করে দেওয়া হবে। তার বাইরে ফেরিওয়ালা কাবাব-তন্দুরি বিক্রি করতে গেলেই জরিমানার খাঁড়া। সেই তালিকাতেই কি এ বার তুলতে চলেছে প্রতিবেশী বডোদরাও?
সূত্রের খবর, বডোদরা পুরসভার স্থায়ী কমিটির চেয়ারপার্সন হিতেন্দ্র পটেল মৌখিক ভাবে এই নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ মৌখিক হওয়ায়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভ্রান্তিও শুরু হয়েছে। কারণ, কী ভাবে সেই নির্দেশের বাস্তবায়ন সম্ভব, তা বুঝে উঠতে পারছেন না নিচু তলার সরকারি কর্মীরা। এ দিকে তাঁদের উপরই প্রয়োগের ভার।
অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া একটি ভিডিয়ো বার্তায় হিতেন্দ্র বলেছেন, ‘‘আমি নির্দেশ দিয়েছি, সুস্বাস্থ্যের খাতিরে মাংস, মাছ বা ডিমের খাবার বিক্রি করা স্টলগুলো যেন ভাল ভাবে তা ঢেকে রাখে। তাঁরা যেন কোনও ভাবেই বড় রাস্তায় এসে না পড়েন, তাতে ট্রাফিকের সমস্যা হতে পারে। তাঁদের নিশ্চিত করতে হবে যেন কোনও আমিষ খাবার বাইরে থেকে দেখা না যায়। তা পথচলতি মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দিতে পারে। প্রকাশ্যে আমিষ খাবার বিক্রি করা হয়তো দীর্ঘ দিনের রেওয়াজ, কিন্তু এখন সময় এসেছে সেই ভুল শুধরে নেওয়ার।
আনন্দবাজার অনলাইন ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy