কেদারনাথ মন্দির চত্বরে তরুণ-তরুণীর এই ভিডিয়ো ঘিরেই বিতর্ক। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
মন্দির চত্বরে কোনও ভিডিয়ো বা রিল বানালেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে সতর্কবার্তা দিল উত্তরাখণ্ড পুলিশ। কেদারনাথ মন্দির চত্বরে রিল বানানোর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ধর্মীয় স্থানে এই ধরনের কাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছেন বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ (বিকেটিসি)।
মন্দির চত্বরে অনেকেই ভিডিয়ো, রিল বানাচ্ছেন এবং তা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করছেন। বিকেটিসি-র বক্তব্য, মন্দির চত্বরে এ ভাবে ভিডিয়ো বা রিল তৈরি করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করায় বহু মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগছে। তা অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত, এ কথা জানিয়ে রাজ্য পুলিশকে চিঠি দিয়েছে বিকেটিসি। মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চিঠি পেয়ে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কেদারনাথ মন্দির চত্বরে কোনও ভিডিয়ো বা রিল বানানো যাবে না। কড়া নজরদারি চালানো হবে। এই ধরনের কাজ বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভিডিয়ো বা রিল বানালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
বিতর্কের সূত্রপাত মন্দির চত্বরে এক তরুণ-তরুণীর ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, হলুদ পাঞ্জাবি পরা এক তরুণ প্রার্থনা করছেন। তাঁর পাশেই হলুদ শাড়ি পরা এক তরুণী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তরুণ দেখেন, তাঁর প্রেমিকা হাঁটু মুড়ে বসে আংটি হাতে তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন। হতচকিত তরুণ ধাতস্থ হওয়ার পরে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং পরস্পর গভীর আলিঙ্গনে আবদ্ধ হন। ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ধর্মীয় স্থানে কেন এ ধরনের কাজে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে? কেন মোবাইল নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে?
ভিডিয়ো নিয়ে জোর চর্চা শুরু হতেই ময়দানে নামে বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়ে দেন, এই ধরনের কাজ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এর পরই পুলিশ প্রশাসনের কাছে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy