উত্তরাখণ্ডের নবনিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী তীরথ সিংহ রাওয়ত। ছবি সংগৃহীত।
ছেঁড়া জিনসের পরে ফের নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন উত্তরাখণ্ডের নবনিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী তীরথ সিংহ রাওয়ত। একটি ভিডিয়োতে আজ তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘ভারতকে ২০০ বছর ধরে শাসন করেছে যে আমেরিকা, তাদেরই এখন দিশেহারা অবস্থা!’’ করোনা প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এ ব্যাপারে ভারতের পরিস্থিতি এখন আমেরিকার চেয়ে অনেক ভাল।
মোদী স্তুতিকে উচ্চগ্রামে নিয়ে গিয়ে তীরথ মন্তব্য করেছেন, ‘‘এই করোনার সময়ে মোদী ছাড়া অন্য কেউ দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে কী যে হত, কে জানে! আমরা হয়তো খুবই খারাপ পরিস্থিতিতে থাকতাম, কিন্তু মোদী আমাদের স্বস্তি দিয়েছেন।’’ মুখ্যমন্ত্রী যা-ই দাবি করুন না কেন, আমেরিকা ভারতকে কখন, কী ভাবে ২০০ বছর ধরে শাসন করল— মুখ্যমন্ত্রীর ইতিহাস জ্ঞান নিয়ে বিভিন্ন মহলে হাসাহাসি শুরু হয়েছে।
ভারতীয় মহিলাদের ছেঁড়া জিনস পরা নিয়ে তীরথের মন্তব্যে দেশ জুড়ে বিতর্ক হয়েছিল ক’দিন আগেই। সেই সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয়ঙ্কা বঢরার মতো নেত্রী এবং অনেকেই পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে আরএসএস নেতাদের হাফপ্যান্ট পরা ছবি পোস্ট করেছিলেন। এমনকি, নরেন্দ্র মোদীর হাফপ্যান্ট পরা, হাঁটু বার করা ছবিও পোস্ট করেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী। তবে তাৎপর্যের বিষয় হল, এখন এই বিতর্কে নিজেদের জড়াতে রাজি হচ্ছে না সঙ্ঘ। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি আরএসএসের নবনিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে।
সম্প্রতি দেহরাদূনে শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের একটি অনুষ্ঠানে তীরথ জানিয়েছিলেন, বিমানে এক জন মহিলাকে তাঁর শিশুদের নিয়ে সফর করতে দেখেছিলেন তিনি। সেই সময়ে ওই মহিলা ছেঁড়া জিনস পরে ছিলেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওই ঘটনা দেখে আমি আঘাত পেয়েছি। সমাজে আমরা কী বার্তা দিচ্ছি।’’ তীরথের মন্তব্য ঘিরে দেশের বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ ওঠে। গত কাল এ নিয়ে আরএসএস নেতা হোসাবলেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সাংবাদিকদের হোসাবলে বলেন, ‘‘আপনারা যাঁর কথা বলছেন, তিনিই এ ব্যাপারে জবাব দিতে পারবেন। অনেকেই মতামত জানিয়েছেন। তবে সেটা ঠিক কি ভুল— সে সব ওঁদেরকেই জিজ্ঞাসা করতে হবে। সবেতেই আরএসএসকে জড়ানোর কোনও কারণ নেই।’’
তীরথ অবশ্য একের পর এক মন্তব্যে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েই চলেছেন। লকডাউনের সময়ে রেশনে মাথাপিছু পাঁচ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়ার কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রসঙ্গ এ দিন তুলেছিলেন তিনি। তখনই বলেছেন, ‘‘১০ জনে ৫০ কেজি রেশন পেয়েছে, ২০ জনে ১ কুইন্টাল। এখন কেউ যদি তা নিয়ে হিংসা করে, তা হলে বলতে হয়, দু’টির বদলে তুমি কুড়িটি সন্তানের জন্ম দাওনি কেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy