ছেলের খুনিকে জামিনে ছাড়ানোর জন্য আইনজীবী নিয়োগ করেছিলেন অভিযুক্ত। প্রতীকী ছবি।
মেয়ের শ্বশুরের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় নিজের নাবালক ছেলেকে খুন করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের এক মহিলা। তাতে সঙ্গ দিয়েছিলেন মেয়ের শ্বশুর। খুনের দায়ে দু’জনেরই জেল হয়েছিল। অভিযোগ, ছেলের খুনের প্রতিশোধ নিতে মেয়ের শ্বশুরকে জামিনে মুক্ত করেন নাবালকের বাবা। শুক্রবার রাতে তাঁর মাথায় ৩টি বুলেট গেঁথে দিয়েছেন তিনি। ঘটনাস্থলেই মেয়ের শ্বশুরের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একাধিক দল।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে খেরি জেলার মিতৌলি এলাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শত্রুধন লালা (৪৭)-র দেহ উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, ছেলের খুনের প্রতিশোধ নিয়ে লালাকে জামিন দিয়ে জেলমুক্ত করে খুন করেছেন কাশী কাশ্যপ এক কৃষক। পঞ্চাশ বছরের কাশীর মেয়ের সঙ্গে লালার ছেলের বিয়ে হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০২১ সালে একটি অন্য খুনের মামলায় জেল হয়েছিল কাশীর। জেলে যাওয়ার আগে তাঁর অনুরোধে লালার বাড়িতে বসবাস করতেন নাবালক ছেলে-সহ তাঁর স্ত্রী। এর কিছু দিন পর জিতেন্দ্র নামে ১৪ বছরের নাবালকের খোঁজ মিলছিল না। পরে এলাকার একটি নদীর পাড়ে তার দেহ মেলে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, নদীতে ডুবে মারা গিয়েছে জিতেন্দ্র। লালার সঙ্গে ঝামেলা শুরু হওয়ায় ২০২১ সালের অক্টোবরে এফআইআর করেন কাশীর স্ত্রী। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, লালার বাড়িতে থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে কাশীর স্ত্রী। দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিল জিতেন্দ্র। সে কারণেই লালার সঙ্গে মিলে নিজের ছেলেকে খুন করেন কাশীর স্ত্রী। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জেল থেকে ছাড়া পান কাশী।
তদন্তকারীদের দাবি, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে ছেলের খুনের জন্য ছক কষতে থাকেন কাশী। লালাকে জেলমুক্ত করতে আইনজীবী নিয়োগ করেন তিনি। এর পর সুযোগ বুঝে তাঁকে খুন করেছেন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নইপল সিংহ বলেন, ‘‘জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই লালার গতিবিধি নজরে রাখছিলেন কাশী। শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে বার হতেই তাঁকে গুলি করে মারেন। লালাকে খুনের অভিযোগে কাশীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। মিতৌলি থানার পুলিশের একাধিক দল অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy