পূর্ণকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে ৩০ পুণ্যার্থীর মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসল উত্তরপ্রদেশ সরকার। প্রয়াগরাজের কুম্ভ মেলায় জনতার ভিড় সামলাতে দায়িত্ব দেওয়া হল অতীত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দুই আমলাকে। ২০১৯ সালের অর্ধকুম্ভের সময় পুণ্যার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণের অভিজ্ঞতা রয়েছে উত্তরপ্রদেশের দুই সিনিয়র আইএএস আশিস গোয়েল এবং ভানুচন্দ্র গোস্বামীর। ভিড় সামলানোর কাজের তদারকির জন্য তাঁদের লখনউ থেকে প্রয়াগরাজে নিয়ে এসেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় পুণ্যস্নানের কিছু বিশেষ তিথি রয়েছে। তার মধ্যে একটি ছিল গত মঙ্গলবার মৌনী অমাবস্যার তিথি। মঙ্গলবার বেশি রাত এবং বুধবার ভোরের দিকে গঙ্গা, যমুনা এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতীর সঙ্গমে স্নান করতে পুণ্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়েছিল। হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০ পুণ্যার্থীর। মৃতদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেরও কয়েক জন বাসিন্দা রয়েছেন। ওই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের মেলার জন্য ভিড় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলাও হয়েছে।
এই অবস্থায় সামনেই আরও একটি ‘বড় পরীক্ষা’ রয়েছে যোগী প্রশাসনের। রবিবার সরস্বতী পুজোতে (বসন্ত পঞ্চমী) আরও একটি পুণ্যস্নানের তিথি রয়েছে। মৌনী অমাবস্যার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে এ বার অভিজ্ঞ আমলাদের উপরও ভরসা রাখছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। দুই আমলা ইতিমধ্যে মেলার দায়িত্বে থাকা বিজয়কিরণ আনন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। অর্ধকুম্ভের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁরও। এই ত্রয়ীর উপরেই ভরসা করে রবিবার পুণ্যার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য নামছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।
আরও পড়ুন:
সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, ১৯৯৫ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার গোয়েলের প্রয়াগরাজে প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলানোর অতীত অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রয়াগরাজের জেলাশাসকও ছিলেন তিনি। গোস্বামী ২০০৯ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার। অতীতে তিনিও প্রয়াগরাজে প্রশাসনিক পদে ছিলেন। বসন্ত পঞ্চমীর ভিড় সামলাতে দুই অভিজ্ঞ আমলাকে ফের প্রয়াগরাজে নিয়ে আসার পাশাপাশি অভিজ্ঞ পুলিশকর্তাদেরও মোতায়েন করা হচ্ছে সেখানে।