মায়ের মৃত্যু হয়েছে সাত দিন আগে। কিন্তু দাহ করার মতো টাকা নেই। কোনও আত্মীয় সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। তাই সাত দিন মৃত মায়ের সঙ্গে এক ছাদের তলায় কাটালেন দুই বোন। দুর্গন্ধ বেরোতে পুলিশে খবর দেন প্রতিবেশীরা। তার পর পুলিশ গিয়ে পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। ব্যবস্থা হয় সৎকারের। ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানার সেকেন্দরাবাদে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতার নাম সি ললিতা। বেশ কিছু দিন ধরে শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন। দিন সাতেক আগে মৃত্যু হয় তাঁর। ললিতার দুই মেয়ে অর্থাভাবে মায়ের দেহ সৎকার করতে পারেননি। বড় মেয়ে রভলিকা একটি শাড়ির দোকানে কাজ করেন। তাঁর চেয়ে তিন বছরের ছোট ২২ বছর বয়সি অশ্বিতা ছোটখাটো কাজ করতেন। কিন্তু মায়ের চিকিৎসা ইত্যাদির পর দুই বোনের হাতে টাকা ছিল না। মায়ের মৃত্যুর পর তাঁরা কয়েক জন আত্মীয়ের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু সকলেই মুখ ফিরিয়ে নেন। তাই দুই কামরার বাড়ির একটি ঘরে মায়ের দেহ রেখে অন্য ঘরে থাকছিলেন দুই বোন।
শুক্রবার তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশে খবর দেন স্থানীয়েরা। তার পরেই পুরো ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রের খবর, ললিতার স্বামী বছর চারেক আগে তাঁদের ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। সম্পত্তিগত বিবাদের কারণে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে মাস দুয়েক আগে নতুন একটি জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন ওই মহিলা। দুই মেয়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে এখনও তেমন পরিচয় গড়ে ওঠেনি। মায়ের মৃত্যুর পরে আর্থিক সাহায্যের জন্য কয়েক জন আত্মীয়কে ফোন করেছিলেন দুই বোন। কিন্তু কেউ সাড়া দেননি। কিন্তু কেন তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন না, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।