Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Sanitiser

শ্লীলতাহানিতে বাধা দিলে স্যানিটাইজ়ার খেতে বাধ্য করেন চার যুবক! উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু নাবালিকার

স্কুল থেকে ফেরার পথে চার জন এক নাবালিকার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। মারধর করা হয় নাবালিকার ভাইকেও। এর পর নাবালিকাকে জোর করে স্যানিটাইজ়ার খাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

representational image

— প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
লখনউ শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৩ ১০:৪৬
Share: Save:

রাস্তায় ঘিরে ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিলেল চার যুবক। প্রাণপণ বাধা দেওয়ার পর রণে ভঙ্গ দেন তাঁরা। পরিবর্তে নাবালিকাকে খেতে বাধ্য করে স্যানিটাইজ়ার। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা নাবালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ চার দুষ্কৃতীর সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে রাস্তায় নাবালিকার দেহ রেখে পথ অবরোধ করেন পরিজনেরা। পরে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

বরেলির পুলিশ সুপার রাহুল ভাটি জানিয়েছেন, গত ২৭ জুলাই একাদশ শ্রেণির ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। অভিযোগ, সেই সময় তার পথ আগলে দাঁড়ান মঠ লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা ২১ বছরের উদেশ রাঠৌর নামে এক যুবক। উদেশের সঙ্গে ছিলেন আরও তিন জন। ছাত্রীকে ঘিরে ধরে শুরু হয় অত্যাচার। ছাত্রী প্রাণপণ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতেই তাঁকে জোর করে স্যানিটাইজ়ার খাওয়ানো হয়ে বলে অভিযোগ। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ছাত্রীর ভাই। তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। শুধু তাই-ই নয়, গোটা ঘটনার ভিডিয়ো করে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় সমাজমাধ্যমে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, স্যানিটাইজ়ার খাওয়ার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রী। প্রথমে তাকে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের পর নাবালিকার পরিবার দেহ রাস্তায় রেখে প্রতিবাদ দেখায়। তাদের অভিযোগ, পুলিশ সক্রিয় হলে এই ঘটনা এড়ানো যেত। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। পুলিশ নাবালিকার পরিবারকে আশ্বস্ত করে, দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে। অভিযুক্ত উদেশ-সহ চার জনকে গ্রেফতার করতে পৃথক চারটি দল তৈরি করে তদন্তে নেমেছে বরেলি শহরের পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Death Girl Uttar Pradesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE