মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধীর পৌত্র রাজমোহন গান্ধীর লেখা সর্দার বল্লভভাই পটেলের জীবনী। আমদাবাদের সর্দার পটেল মেমোরিয়ালে কংগ্রেসের বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে উপস্থিত আজ প্রায় শ’দেড়েক কংগ্রেস নেতার হাতে তুলে দেওয়া হল এই বই। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে সর্দার পটেলের মন্ত্রে সংগঠন মজবুত করার বার্তা দিলেন। তার পরে বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সর্দার পটেলকে নিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করে আজ কংগ্রেস তাঁর উত্তরাধিকার পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করল। কিন্তু সেই বৈঠকে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা কেন গরহাজির তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।
কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব দলের সংগঠন মজবুত করে ভোটে জিততে পৃথক নির্বাচন পরিচালনা দফতর তৈরি করে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে তার দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবছেন। অথচ আমদাবাদে কংগ্রেসের অধিবেশনে প্রিয়ঙ্কার অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের মুখে আজ কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল যুক্তি দিয়েছেন, প্রিয়ঙ্কার এই সময়ে বিদেশে কিছু কাজ নির্ধারিত ছিল। তাই তিনি দলের সভাপতির থেকে ছুটি চেয়ে নিয়েছিলেন।
নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকেই কংগ্রেসের গুজরাতের দুই ‘আইকন’ মহাত্মা গান্ধী ও সর্দার পটেলের উত্তরাধিকার কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে তিনি গান্ধীর চশমাকে স্বচ্ছ ভারতের লোগো হিসেবে কাজে লাগিয়েছেন। সর্দার পটেলের সুউচ্চ মূর্তি তৈরি করিয়েছেন। মোদীর হাত থেকে পটেলের উত্তরাধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় আজ কংগ্রেসের বৈঠক বসেছিল আমদাবাদে শাহজাহানের তৈরি মোতিশাহি মহলের সামনে। যে মহল এখন সর্দার পটেল মেমোরিয়াল সংগ্রহশালা।
বৈঠকের শুরুতে খড়্গে বলেন, সর্দার পটেলই আরএসএসকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। এখন বিজেপি-আরএসএসের নেতারা নিজেদের পটেলের উত্তরাধিকারী হিসেবে দাবি করছেন। কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, “এখন সর্দার পটেল এবং জওহরলাল নেহরুর মধ্যে বিবাদ ছিল দাবি করা হয়। তা ভুল প্রমাণ করতেও এই প্রস্তাব। বুধবার কংগ্রেসের অধিবেশনে গুজরাতের আসল পরিস্থিতি নিয়ে প্রস্তাব পাশ হবে।”
রাহুল গান্ধী আজ বৈঠকে বলেছেন, "কংগ্রেস ব্রাহ্মণ, দলিত ও মুসলিমদের মধ্যে আটকে গিয়ে ওবিসি-দের কথা ভুলে গিয়েছি। মুসলিম-সহ সংখ্যালঘুদের সমস্যা নিয়ে আমরা সরব হই বলে সমালোচনা হয়। কিন্তু ভয় পেলে চলবে না।"
এ দিকে, আজ তাপপ্রবাহে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম ও নেত্রী সুভাষিনী যাদব। চিদম্বরমকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিদম্বরম জানান, প্রবল উত্তাপের ফলে তাঁর শরীরে জলের অভাব দেখা দিয়েছিল। মেডিক্যাল পরীক্ষায় কোনও অস্বাভাবিকতার কথা জানা যায়নি।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)