অর্থ মন্ত্রকের অনুমোদন মিলেছে। ১ মে থেকে দেশের ১১টি রাজ্যে মিশে যাচ্ছে ১৫টি আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক (আরআরবি)। তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। লক্ষ্য, ‘এক রাজ্য-একটি গ্রামীণ ব্যাঙ্ক’-এর কৌশল বাস্তবায়িত করা। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রকের দাবি, ব্যাঙ্কের কাজে দক্ষতা বাড়াতে এবং খরচে রাশ টানতেই এই উদ্যোগ।
আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির প্রতিটি এক একটি বড় বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের সঙ্গে ষুক্ত। বড় ব্যাঙ্কটিই স্পনসর ব্যাঙ্ক। পশ্চিমবঙ্গে তিনটি গ্রামীণ ব্যাঙ্ক— পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্ক, ইউকো ব্যাঙ্কের পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্ক। মে মাস থেকে তিনটি মিশবে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কে। সংযুক্ত ওই ব্যাঙ্ক থাকবে পিএনবি-র আওতায়। সদর দফতর কলকাতা। গ্রামীণ ব্যাঙ্কের অফিসারদের সংগঠন এআইআরআরবিওএফ-এর সাধারণ সম্পাদক সৃজন পাল বলেন, ‘‘আমরা সংযুক্তিকে স্বাগত জানাচ্ছি। তিনটি ব্যাঙ্কের কোনও শাখাই বন্ধ হবে না। কমানো হবে না কর্মী সংখ্যাও। ফলে গ্রাহক সেবা আগের মতোই চলবে।’’
সংযুক্তির মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সংখ্যা কমানোর এটি চতুর্থ পর্যায়। এখন দেশে এই ব্যাঙ্ক ৪৩টি। এ বার তা কমে হচ্ছে ২৮টি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংযুক্তির অন্যতম লক্ষ্য সাধারণ মানুষের স্বার্থরক্ষা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)