— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বড়ই স্বল্প দাবিদাওয়া তাঁর! তাই টাকা নয়, সোনাদানা নয়, বরং ঘুষ হিসাবে চেয়েছিলেন মোটে পাঁচ কিলো আলু! কিন্তু তাতেও পার পেলেন না। বরং ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাকরি থেকে বরখাস্ত হলেন পুলিশকর্মী। এমনই ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল কনৌজের সৌরিখ থানা।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের কনৌজের ওই পুলিশকর্মীর কথোপকথনের একটি অডিয়ো রেকর্ডিং সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতেই শোনা যাচ্ছে, খোলাখুলিই ঘুষ চাইছেন তিনি। অথচ মজার বিষয় হল, টাকাপয়সা নয়, ঘুষ হিসাবে চাওয়া হচ্ছে আলু! অডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পরেই কনৌজ পুলিশের এসপি বরখাস্ত করেছেন ওই কর্মীকে।
অভিযুক্ত কনৌজের সৌরিখ থানার চাপুন্না-ভাওয়ালপুর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত সাব ইনস্পেক্টর। তাঁরই কথোপকথনের রেকর্ডিং সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে চর্চা। কারও গলায় সমালোচনার সুর, কেউ আবার মেতেছেন হাস্যকৌতুকে। এক মিনিট চার সেকেন্ডের ওই রেকর্ডিংয়েই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে ঘুষ হিসাবে পাঁচ কিলো আলু চাইতে শোনা যাচ্ছে। ফোনের ওপারে যিনি রয়েছেন তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ফোনে ওই ব্যক্তি জানাচ্ছেন, তিনি দু’কিলো আলু দিলেও বাকি তিন কিলো এখনই দিতে পারছেন না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিন কিলো আলু দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন ওই পুলিশকর্মী। কিছু ক্ষণ বাগ্বিতণ্ডার পর শেষমেশ তিন কিলো আলুতে রফা হচ্ছে দু’জনের!
তবে আপাতদৃষ্টিতে মজার মনে হলেও দিনেদুপুরে কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মীর এ ভাবে ঘুষ চাওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সে রাজ্যের পুলিশ। এক পক্ষ আবার মনে করছে ‘আলু’ শব্দটি আদতে কোনও গুপ্ত সঙ্কেতও হতে পারে। আপাতত তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy