—ফাইল চিত্র।
বছর দুয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দু’দিনে ৬০টির বেশি শিশু-মৃত্যুর ঘটনায় দেশ জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। গাফিলতির অভিযোগে গ্রেফতার হন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক কাফিল খান। ঘটনার দু’বছর পর তাঁকে ‘ক্লিনচিট’ দিল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরেই সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন কাফিল।
তবে সন্ধের পরে একটি বিবৃতিতে উত্তরপ্রদেশ সরকার দাবি করেছে, কাফিলকে সমস্ত অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও তদন্ত চলছে।
২০১৭-র অগস্টে বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেনের অভাবে শিশু-মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। গাফিলতির অভিযোগে চিকিৎসক কাফিলকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। কমিটি গড়ে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। শিশু-মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট গত এপ্রিলে রাজ্য সরকারের কাছে জমা পড়ে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই ঘটনার সময়ে কাফিল এনসেফ্যালাইটিস বিভাগের নোডাল অফিসার ছিলেন না। ছুটিতে থাকা সত্ত্বেও নিজের কাছে থাকা ৫০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের জোগান দিয়েছিলেন তিনি। কাফিল বিপর্যয়ের জন্য দায়ী নন। হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের টেন্ডার প্রক্রিয়াতেও যুক্ত ছিলেন না তিনি।
শিশু-মৃত্যুর ঘটনার পর হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কাফিলকে তিরস্কারও করেছিলেন তিনি। তার পরেই সাসপেন্ড এবং গ্রেফতার হয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। সরকারের যুক্তি ছিল, এনসেফ্যালাইটিস বিভাগের নোডাল মেডিক্যাল অফিসার ছিলেন কাফিল। অক্সিজেনের অভাবের কথা জানা সত্ত্বেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তিনি জানাননি। কাফিল আজ বলেছেন, ‘‘ওই ঘটনায় যাঁরা শিশু হারিয়েছেন, তাঁরা এখনও বিচারের অপেক্ষায়। আমার দাবি, ওই পরিবারগুলির কাছে সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং মৃতের পরিবারকে দিতে হবে ক্ষতিপূরণও।’’
এ দিন উত্তরপ্রদেশ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, কাফিলকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই চিকিৎসক সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে, তা অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর। প্রাইভেট প্র্যাকটিসের অভিযোগ ছিল কাফিলের বিরুদ্ধে। তিনি সঠিক উত্তর দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy