প্রতীকী ছবি।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে আবারও অমানবিক নির্যাতনের শিকার এক তরুণী। প্রথমে গণধর্ষণের চেষ্টা করা হয় তাঁকে। তাতে বাধা পেলে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় ধর্ষকরা। বুধবার শাহজাহানপুরের জাতীয় সড়কের পাশে মারাত্মক ভাবে পুড়ে যাওয়া ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। পুলিশের কাছে বয়ান নথিভুক্ত করিয়ে তাঁর উপর হওয়া অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন ছাত্রী।
উত্তরপ্রদেশের বিতর্কিত রাজনীতিক এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বামী চিন্ময়ানন্দের কলেজের স্নাতক স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের কলা বিভাগে পড়াশোনার করেন এই ছাত্রী। এর আগে এই চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে তাঁর কলেজের এক ছাত্রীর সঙ্গে ক্ষমতার জোর খাটিয়ে যৌন সংসর্গ করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলায় অবশ্য জামিন পেয়ে যান চিন্ময়ানন্দ। মঙ্গলবারের ঘটনাতেও ছাত্রীর গতিবিধি সন্দেহ জাগিয়েছে তদন্তকারীদের। পুলিশ সুপার এস আনন্দ জানিয়েছেন, ঘটনাটির তদন্তে নেমে ওই ছাত্রীর কার্যকলাপ সংক্রান্ত বেশ কিছু সন্দেহজনক তথ্য হাতে এসেছে তাঁদের। সিসিটিভি ফুটেজে তাঁরা দেখেছেন, ওই ছাত্রী কলেজের ঘেরাটোপের একটি ভাঙা অংশ দিয়ে একাই বেরিয়ে আসছেন। তার ২০ মিনিট আগেই কলেজে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল ওই তরুণীকে। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, একা কলেজ থেকে বেরিয়ে ক্যানাল রোড ধরে হাঁটছিলেন ওই তরুণী। কলেজে ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যেই কেন তাঁর বেরনোর প্রয়োজন পড়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, জখম ওই তরুণী নিজের বয়ানও বদলেছেন বেশ কয়েকবার।
আপাতত লখনউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী। শরীরের ৭২ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে তাঁর। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য লখনউয়ের এসপিএম সিভিল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। হাসপাতালে তরুণীর নিরাপত্তার জন্য পাঁচজন পুলিশের একটি দল মোতায়েন করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy