Advertisement
E-Paper

‘বেচব না’, রাহুলের সেলাই করা জুতোর জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফিরিয়েছেন সুলতানপুরের সেই চর্মকার

রাহুল তাঁর দোকানে বসে যে জুতো সেলাই করেছিলেন, তা কেনার জন্য কেউ কেউ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে চেয়েছিলেন। রাম যদিও অনড়। সে জুতো তিনি বিক্রি করবেন না।

সুলতানপুরে সেই চর্মকারের দোকানে রাহুল গান্ধী।

সুলতানপুরে সেই চর্মকারের দোকানে রাহুল গান্ধী। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৪ ১৯:৩১
Share
Save

দিন কয়েক আগেও রাস্তার ধারে বসে জুতো সেলাই করে যেতেন তিনি। লোকে এসে সেলাই বা পালিশ করার জন্য ছুড়ে দিতেন নিজেদের জুতো। এখন সেই মানুষগুলোই এসে নিজস্বী তুলছেন রাম চেটের সঙ্গে। গাড়ি থামিয়ে গল্প করছেন। কেউ সমস্যার কথা জানতে চাইছেন। এ জন্য রাহুল গান্ধীকেই ধন্যবাদ দিতে চান উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের সেই চর্মকার রাম। তিনি সম্মান দিয়েছিলেন বলেই বদলে গিয়েছে তাঁর অবস্থা। রাহুল তাঁর দোকানে বসে যে জুতো সেলাই করেছিলেন, তা কেনার জন্য কেউ কেউ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে চেয়েছিলেন। রাম যদিও অনড়। সে জুতো তিনি বিক্রি করবেন না।

সুলতানপুরে একটি মানহানির মামলার শুনানিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল। পথে তিনি রামের জুতো সারাইয়ের দোকানে দাঁড়িয়ে পড়েন। তাঁর ব্যবসার খোঁজখবর নেন তিনি। তাঁর থেকে জুতো সেলাইয়ের পাঠও নেন। রাহুলের জুতো সেলাইয়ের সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পরের দিন রামকে একটি সেলাই যন্ত্র দেওয়া হয় রাহুলের তরফে। এখন কাজে অনেক সুবিধা হয়। রাম একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাহুল তাঁর দোকানে আসার পর থেকে জীবনটাই বদলে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘লোকে এখন গাড়ি, দু’চাকা থামিয়ে আমার খোঁজ নেয়। রাহুলজি আমায় অনেক সম্মান দিয়েছেন।’’

রাম জানিয়েছেন, রাহুলের সেলাই করা সেই জুতো কিনতে চেয়ে অনেকে লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথমে এক জন পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছিলেন। এখন সেই প্রস্তাব ১০ লক্ষ টাকায় পৌঁছেছে। এক জন ব্যাগভর্তি নগদ নিয়ে এসেছিলেন, আমি নিইনি। ওই জুতো আমি বিক্রি করব না।’’ রামও জানিয়েছেন, ওই জুতো যাঁর, তাঁকে আর ফেরত দেবেন না তিনি। বদলে জুতোর দাম মিটিয়ে দেবেন। অস্থায়ী ঝুপড়িতে থাকেন রাম। সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। সে কারণে রাতে বাড়ি বসে যন্ত্রের মাধ্যমে আর সেলাই করতে পারেন না। তাঁর দোকানে বসে রাহুলের জুতো সেলাইয়ের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে তাঁর সমস্যার কথা জানতে এসেছেন প্রশাসনের কর্মীরাও। তাঁর কথায়, ‘‘এখন প্রশাসনের লোকজন এসেও আমার সমস্যার কথা শুনতে চান। আগে এ সব হয়নি।’’

Rahul Gandhi Cobbler Uttar Pradesh

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}