ভোটের লাইনে মহিলারা। গৌতম বুদ্ধ নগরের বৈদপুরা গ্রামের একটি বুথে। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশে প্রথম পর্বের নির্বাচনে। পিটিআই
বিক্ষিপ্ত কিছু গোলমাল বাদ দিলে মোটের উপর নির্বিঘ্নেই শেষ হল উত্তরপ্রদেশের প্রথম দফার নির্বাচন। দিনের শেষে ভোট পড়ল ৬০.১৭ শতাংশ। যা গত বারের চেয়ে প্রায় তিন শতাংশ কম। জাঠ অধ্যুষিত কৈরানা ও শামলি বাদে অধিকাংশ অঞ্চলেই গত বারের চেয়ে ভোট কম পড়ায় স্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব।
আজ যে ৫৮টি আসনে ভোট ছিল, তার একটি বড় অংশে নির্ণায়ক জাঠেরা। তিন কৃষি আইন এবং তার জেরে কৃষক আন্দোলনের কারণে জাঠ সমাজের বড় অংশ বিজেপির উপরে ক্ষুব্ধ। বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ আশাবাদী যে, শেষ মুহূর্তে যে ভাবে মেরুকরণের হাওয়া উস্কে, ২০১৩ সালের মুজফ্ফরনগরের দাঙ্গার স্মৃতিকে খুঁচিয়ে দেওয়া গিয়েছে, তাতে অতীতের মতোই মুসলিম ও জাঠ ভোটের বিভাজন ঘটতে চলেছে এ বারেও। বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের মতে, যে ভাবে মানুষ আজ যোগী ও মোদীজির সমর্থনে ভোট দিতে পথে নেমেছেন, তাতে দল ফের তিনশো আসন পেতে চলেছে। অন্য দিকে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের মতে, মানুষ যে ভাবে পথে নেমেছেন, তা থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে বিজেপির পতন শুরু হয়ে গিয়েছে।
আগামী সোমবার উত্তরপ্রদেশে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। দ্বিতীয় দফায় মোট ৯টি জেলার ৫৫টি আসনে ভোট হতে চলেছে। দ্বিতীয় দফাতেও সহারনপুর, বিজনৌর, আমরোহার মতো জাঠ অধ্যুষিত এলাকাগুলির পাশাপাশি মোরাদাবাদ, রামপুরের মতো মুসলিম অধ্যুষিত বিধানসভা রয়েছে। রাজনীতির অনেকের মতে, প্রথম পর্বের মতোই এ ক্ষেত্রেও হিন্দু ভোটের মেরুকরণে তৎপর হবে বিজেপি। বিশেষ করে প্রথম পর্বের ভোটে যদি মেরুকরণের কৌশলে সাফল্যের সামান্যতম গন্ধ বিজেপি পায়, সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পর্বে মেরুকরণের হাওয়া আরও জোরালো করার কৌশল নেবে বিজেপি।
সাধারণত শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া থাকলে আমজনতার বেশি অংশের এগিয়ে এসে ভোটদানের প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে ভোট কম পড়ায় স্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy