প্রতীকী ছবি
প্রত্যাশা ছিল না। বিশেষ কোনও চমক থাকবে এমন আশাও করেননি রেল কর্তারা। দিনের শেষে দেখা গেল রেলের প্রাপ্তিযোগ বলতে সৌর বিদ্যুৎ। রেললাইনের দু’ধার দিয়ে খালি জমিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে রেল। বাজেটে বরাদ্দের বড় অংশ খরচ হবে পরিকাঠামো উন্নয়নে।
বৃদ্ধি ঝিমিয়ে পড়ায় সরকারের হাতে খরচ করার মতো বাড়তি অর্থের টানাটানি। রেল বাজেটে যার প্রভাব পড়েছে। গত অর্থবর্ষে যেখানে রেলের মোট বাজেট বরাদ্দ (সংশোধিত) ছিল ১.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা, এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ১.৬১ লক্ষ কোটি টাকা। গত বারের চেয়ে যা মাত্র ৩ শতাংশ বেশি। হতাশ রেলর্কতারা বলছেন, আশা করা হয়েছিল, বরাদ্দ অন্তত পাঁচ শতাংশ বাড়বে। কিন্তু তা-ও হয়নি। অর্থনীতিতে মন্দার দশা কাটার কোনও লক্ষণ নেই। তাই পণ্য পরিবহণের লক্ষ্যমাত্রা বিশেষ বাড়ানোর ঝুঁকি নেয়নি রেল। গত অর্থবর্ষে ১২৫৬ মেট্রিক টন পণ্য পরিবহণ হয়েছিল, এ বার লক্ষ্যমাত্রা মাত্র ৪২ মেট্রিক টন বাড়ানো হয়েছে।
যাত্রী থেকে পণ্য পরিবহণ— রেলের আয় কমেছে সব ক্ষেত্রেই। যার প্রভাব পড়েছে অপারেটিং রেশিও-তে। গত অর্থবর্ষে রেলের ১০০ টাকা আয় করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৯৭.৪৬ টাকা। যদিও প্রকৃতপক্ষে তা ১০২ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলেই মত সিএজি-র। আগামী অর্থ বছরে একে কমিয়ে ৯৬.২৮ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। কিন্তু বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে বর্ধিত বেতন ও পেনশন দেওয়ার পরে লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে মন্ত্রকে।
প্রকল্পে বরাদ্দ
• ৭০ হাজার কোটি টাকার কেন্দ্রীয় সাহায্য
• ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ নতুন লাইনে
• ২২৫০ কোটি টাকা গেজ পরিবর্তনে
• ডাবলিং-এ ৭০০ কোটি
• নতুন কোচ-ইঞ্জিন ও সিগন্যালিং খাতে যথাক্রমে খরচ ৫৭৮৬.৯৭ কোটি টাকা ও ১৬৫০ কোটি টাকা
• আগামী এক বছরে ওই কাজ হবে ৩৭৫০ কিলোমিটারে লাইনে। যা গত বারের চেয়ে ৬০০ কিলোমিটার বেশি
অন্য পরিকাঠামো
• আগামী পাঁচ বছরে ১০০ লক্ষ কোটি টাকা খরচ। কিন্তু টাকা কোথা থেকে আসবে?
• হবে ২৫০০ কিমি সড়ক
• ৯০০০ হাজার কিলোমিটার অর্থনৈতিক করিডর
• ২০০০ কিমি উপকূলে রাস্তা ও ভৌগোলিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ২০০০ কিমি রাস্তা
• ২০২৩-র মধ্যে দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ। তার পর চেন্নাই-বেঙ্গালুরুর এক্সপ্রেসওয়ের কাজ
আজকের বাজেটে রেলের চারটি বিষয়ের উপরে জোর দিয়েছেন নির্মলা সীতারামন। প্রথমত, রেল লাইনের দু’পাশে থাকা জমিতে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। দ্বিতীয়ত, দেশের চারটি স্টেশনকে নতুন করে গড়ে তোলা হবে। দেড়শো ট্রেনকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হয়েছে। যা পূর্ব ঘোষিত। তৃতীয়ত,
পর্যটনের বিকাশে পর্যটনস্থলগুলিতে আরও বেশি তেজস ট্রেন চালানো হবে। চতুর্থত, ১৮,৬০০ কোটি খরচ করে বেঙ্গালুরুতে লোকাল ট্রেন পরিষেবা গড়ে তোলা হবে। যে প্রকল্পের কুড়ি শতাংশ অর্থ দেবে কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy