দেশ জুড়ে বিক্ষোভ সত্ত্বেও শ্রমিক, কৃষক-সহ গরিব নিচুতলার মানুষের মধ্যে সিএএ-এনআরসি নিয়ে এখনও সচেতনতা নেই। মনে করছে সিপিএম। ছবি: পিটিআই।
সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুরা রাস্তায় নেমেছেন ঠিকই। কিন্তু হিন্দুদের মধ্যে এখনও শিক্ষিত, উচ্চ মধ্যবিত্ত সমাজের একাংশই বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন বলে মনে করছেন সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব। আজ দিল্লিতে সিপিএমের পলিটবুরো বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, অধিকাংশ নেতারই মত হল, আন্দোলন টিকিয়ে রাখতে হলে সমাজের নিচু তলায় সিএএ-এনআরসি-র বিপদ নিয়ে প্রচার দরকার।
সিএএ-এনআরসি হোক বা জেএনইউ-এর হস্টেল ফি বৃদ্ধি—এসএফআই-সহ বাম ছাত্র সংগঠনগুলি বিক্ষোভ আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছে। ৮ জানুয়ারি শ্রমিক সংগঠনগুলি মোদী সরকারের নীতির বিরুদ্ধে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। তাতে সিএএ-এনআরসি নিয়ে আপত্তিও তুলে ধরা হয়েছিল। ছাত্র, কৃষক সংগঠনও এতে যোগ দেয়। সিপিএমের নেতাদের মতে, শ্রমিক, কৃষক-সহ গরিব নিচুতলার মানুষের মধ্যে সিএএ-এনআরসি নিয়ে এখনও সচেতনতা নেই। সে কারণে সংখ্যালঘু সমাজের জনতাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মাঠে নামছেন। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে হিন্দু সমাজ এবং হিন্দু সমাজের নিচুতলার মানুষ অংশ নিচ্ছেন না। বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষক বুদ্ধিজীবীদের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ থাকছে। এগোনোর পথ খুঁজতে রবিবারও আলোচনা হবে। তার ভিত্তিতেই ১৩ জানুয়ারি বিরোধী দলগুলির বৈঠকে সিপিএমের মতামত পেশ করবেন সীতারাম ইয়েচুরি। সনিয়া গাঁধীর ডাকা ওই বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিএসপি-নেত্রী মায়াবতীও যোগ দেবেন না। এসপি-র প্রতিনিধি হিসেবে যাতে খোদ অখিলেশ যাদবই হাজির থাকেন, তার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: এগিয়ে দিল্লির সরকারি স্কুল: অভিজিৎ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy