প্রতীকী ছবি।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়াতে গত পাঁচ বছরে ভারত বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে বটে, কিন্তু আমদানি ও রফতানি শুল্ক-সহ বহির্বাণিজ্যের বেশ কয়েকটি উপাদান ঘন ঘন পরিবর্তনের ফলে সমস্যাও কম নেই। ভারত সম্পর্কে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সপ্তম বাণিজ্য নীতি পর্যালোচনায় এমন কথাই বলা হয়েছে। পাশাপাশি, করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতিষেধক-সহ বিভিন্ন চিকিৎসা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সুবিধা দাবি করা হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকেও। আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই পর্যালোচনা চলবে।
ভারতের বাণিজ্য নীতি সম্পর্কে ডব্লিউটিও শেষ পর্যালোচনাটি করেছিল ২০১৫ সালে। চলতি রিপোর্টে তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মসৃণতর করার জন্য গত পাঁচ বছরে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছে সরকার। যেমন, আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রে শুল্ক বিভাগের অনুমোদন প্রক্রিয়া সরল করা হয়েছে। তার জন্য চালু করা হয়েছে এক জানলা ব্যবস্থা, বৈদ্যুতিন গেটওয়ে, বন্দরে সরাসরি পণ্য ঢোকার সুবিধা। এ ছাড়া ডব্লিউটিও বলেছে, ‘‘বাণিজ্যের সুবিধার জন্য গত পাঁচ বছরে ভারত যে সমস্ত পদক্ষেপ করেছে, তার মধ্যে রয়েছে নথির সংখ্যা কমানো, আমদানি ও রফতানিতে শুল্ক বিভাগের অনুমোদনের ক্ষেত্রে অটোমেশনের ব্যবহার।’’
তবে এরই পাশাপাশি কয়েকটি বিষয় মোটের উপরে অপরিবর্তিত রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ডব্লিউটিও-র রিপোর্টে। তাদের মতে, ভারতের বাণিজ্য নীতি প্রবল ভাবেই আমদানি শুল্ক, রফতানি কর, আমদানি পণ্যের ন্যূনতম দর, বিভিন্ন রকম বিধিনিষেধ নির্ভর। এর কোনওটা রদবদল করা হয় দেশীয় শিল্পকে বাঁচাতে, কোনওটি বা রাজস্ব বাড়ানোর উদ্দেশ্যে। কিন্তু এই ধরনের ঘন ঘন রদবদল আবার অন্যান্য দেশের আমদানি-রফতানিকারীদের কাছে অনিশ্চয়তা তৈরি করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy