উদ্ধব ঠাকরে এবং একনাথ শিন্ডে। ফাইল চিত্র।
দল ভাঙা নয়, এ বার সরাসরি শিবসেনার দখল নিতে সক্রিয় হলেন একনাথ শিন্ডে! অসমের গুয়াহাটিতে বিজেপির ‘হেফাজতে’ থাকা শিন্ডে-সহ ৩৪ জন ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক বুধবার নিজেদের ‘প্রকৃত শিবসেনা পরিষদীয় দল’ দাবি করে চিঠি দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি এবং ডেপুটি স্পিকার নিহারী সীতারাম জিরওয়ালকে। অন্য দিকে, বুধবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে তাঁর সরকারি বাংলো ছেড়ে দেওয়ায় মহারাষ্ট্রে পালাবদলের সম্ভাবনা ঘিরে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে নানা পাটোলে স্পিকার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর থেকে অস্থায়ী ভাবে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন এনসিপি বিধায়ক জিরওয়াল। তাঁকে লেখা চিঠিতে শিন্ডেকেই ‘শিবসেনা পরিষদীয় দলের নেতা’ পদে বহাল রাখার আর্জি জানিয়েছেন বিদ্রোহীরা। বিকেলে শিন্ডে একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দল আর দলের কর্মীদের বাঁচাতে এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে অস্বাভাবিক জোট ছেড়ে বেরোনো শিবসেনার জন্য অপরিহার্য ছিল।’
মহারাষ্ট্র ছেড়ে গুজরাতের সুরতে বিজেপির ‘আশ্রয়ে’ যাওয়ার পর মঙ্গলবার শিন্ডেকে সরিয়ে অজয় চৌধুরীকে বিধানসভা নয়া দলনেতা মনোনীত করে শিবসেনা। বিধানসভায় দলে চিফ হুইপ সুনীল প্রভু সে কথা চিঠি লিখে জানান ডেপুটি স্পিকারকে। বুধবার সুনীলকে সরিয়ে বিধানসভায় শিবসেনার নতুন চিফ হুইপ হিসেবে ভারত গোগাভালেকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ডেপুটি স্পিকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে শিন্ডে শিবির। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব বিধান পরিষদের সদস্য হওয়ায় এত দিন পর্যন্ত বিধানসভায় শিবসেনার দলনেতার দায়িত্ব পালন করছিলেন শিন্ডে।
মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব বুধবার রাতে তাঁর সরকারি বাসভবন ‘বর্ষা’ ছেড়ে পৈতৃক ভিটে মাতোশ্রীতে চলে গিয়েছেন। তবে শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘‘উদ্ধবই মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন। তিনি ইস্তফা দেবেন না। প্রয়োজনে বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষার মুখোমুখি হবেন।’’ যদিও এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার ইতিমধ্যেই শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য উদ্ধবকে ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন বলে শাসক জোট ‘মহা বিকাশ অগাড়ি’ (শিবসেনার পাশাপাশি এনসিপি এবং কংগ্রেস যে জোটের শরিক)-র একটি সূত্র জানিয়েছে।
অন্য দিকে, বুধবার রাতে শিবসেনার আরও দুই বিধায়ক, সদা সরভঙ্কর এবং মঙ্গেশ কুদলকর ‘বিজেপির তত্ত্বাবধানে’ গুজরাতের সুরত রওনা হয়েছেন বলে খবর মিলেছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy