সোনালি ফোগট। ফাইল চিত্র।
কেন মরতে হল হরিয়ানার বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগটকে— প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ ব্যক্তিগত শত্রুতা ও অর্থের লোভ কারণ হিসাবে তুলে ধরলেও ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে সেই রহস্য। শুক্রবার তদন্ত করে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে এক জন গোয়ার আঞ্জুনা বিচের সৈকত-রেস্তরাঁ তথা পাব কার্লিজ় শ্যাকের মালিক এডউইন জোসেফ নুনেজ়। অপর জনের নাম দত্তপ্রসাদ গাঁওকর। দত্তপ্রসাদ মূলত মাদক পাচারকারী। দু’জনেক মাদক রাখা ও জোগান দেওয়া অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শ্যাকের শৌচাগার থেকে মাদকও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে ঠিক কী ধরনের মাদক রাখা হয়েছিল কার্লিজ়ের শৌচাগারে এবং তার সঙ্গে সোনালির মৃত্যুর কী যোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালেও মাদক রাখা ও পাচার করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল এডউইন।
মূল দুই অভিযুক্ত সুধীর সাঙ্গওয়ান ও সুখবিন্দর সিংহকে গোয়ার মাপুসা আদালতে শনিবার পেশ করা হয়েছিল। তাদের দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গোয়ার আইজি ওমবীর সিংহ বিষ্ণোই জানিয়েছেন, জেরায় সুখবিন্দর ও সুধীর দু’জনেই জানিয়েছে, পানীয়তে রাসায়নিক এমডিএমএ মাদক মিশিয়ে সোনালিকে পান করতে বাধ্য করেছিলেন তারা।
গত ২৩ অগস্ট গোয়ায় মৃত্যু হয় সোনালির। প্রথমে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ধারণা করা হলেও পরে ময়না তদন্তে উঠে আসে কোনও ভোঁতা কোনও অস্ত্র দিয়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন’ রয়েছে তাঁর শরীরে। তার পরে সিসিটিভি ফুটেজ ও ময়না তদন্তে উঠে আসে মাদক খাওয়ানোর বিষয়টি। বুধবার সোনালির ব্যক্তিগত সহকারী সুধীর সাঙ্গওয়ান ও সুধীরের সঙ্গী সুখবিন্দর সিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সোনালির ভাই রিঙ্কু ঢাকা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিই শুক্রবার দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy