বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে ৩৭ কেজিরও বেশি মাদক-সহ ধরা পড়লেন দুই বিদেশিনি! পুলিশ সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া মাদকের মোট বাজারমূল্য প্রায় ৭৫ কোটি টাকা। রবিবার সকালেই বিমানবন্দর থেকে দুই নাইজেরীয় মহিলাকে এই বিপুল পরিমাণ মাদকসমেত গ্রেফতার করা হয়েছে, যা কর্নাটকের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় মাদক পাচারের ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ।
ম্যাঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার অনুপম আগরওয়াল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরু আসছিলেন বাম্বা ফান্টা (৩১) এবং অ্যাবিগেল অ্যাডোনিস (৩০) নামে দুই বিদেশিনি। বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ করার পর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। তল্লাশিতে তাঁদের ট্রলি ব্যাগ থেকে বেরোয় প্রায় ৩৭ কেজি এমডিএমএ মাদক। এ ছাড়াও, তাঁদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল, বেশ কয়েকটি পাসপোর্ট এবং নগদ ১৮,০০০ টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লির বাসিন্দা বাম্বা এবং অ্যাবিগেল ভারতের নানা প্রান্তে মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মাদক পাচারের জন্য প্রায়ই বিমানে ভারতের নানা গুরুত্বপূর্ণ শহরে যাতায়াত করতেন তাঁরা। গত এক বছরে অন্তত ৩৭ বার মুম্বইয়ে এবং ২২ বার বেঙ্গালুরুতে আসা-যাওয়া করেছিলেন দুই তরুণী। দুই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে ব্যবসায়িক ভিসায় ভারতে এসেছিলেন বাম্বা। আর অ্যাবিগেল ২০১৬ সাল থেকেই ভারতে থাকছেন। তবে দু’জনেরই মাদক পাচারে হাতেখড়ি হয়েছিল বছর দুয়েক আগে।
পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, ছ’মাস আগে এই মাদক পাচার চক্রের এক জন গ্রেফতার হওয়ার পর তদন্তে নামে পুলিশ। ম্যাঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার হওয়া ওই যুবকের নাম ছিল হায়দার আলি। ১৫ গ্রাম এমডিএমএ-সহ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। হায়দারকে জেরা করে পিটার নামে এক নাইজেরীয় নাগরিকের খোঁজ পায় পুলিশ। বেঙ্গালুরু থেকেই ছয় কেজি মাদকসমেত পুলিশের জালে ধরা পড়েন তিনিও। এর পর চক্রের বাকিদের খোঁজে শুরু হয় ‘অভিযান’। সেই অভিযানেই এ বার এল সাফল্য।