হেফাজতে অকথ্য অত্যাচার করা হত। পর্যাপ্ত জল এবং খাবারও দেওয়া হত না। কখনও আবার হুমকি দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হত সাদা কাগজে। এ বার রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদফতরের (ডিআরআই) বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ আনলেন সোনাপাচার মামলায় ধৃত অভিনেত্রী রান্যা রাও। এ বিষয়ে ডিআরআইয়ের এডিজির কাছে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।
রান্যার অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে তাঁকে। হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। রান্যার কথায়, ‘‘গ্রেফতারের মুহূর্ত থেকে আদালতে হাজির করানো পর্যন্ত একাধিক বার আমাকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে। জেরার নামে ১০-১৫ বার চড় মেরেছেন তদন্তকারীরা। এর পরেও, আমি তাঁদের লিখিত বিবৃতিতে সই করতে রাজি হইনি। কিন্তু তাতে উল্টে শারীরিক নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। শেষমেশ আমাকে ৫০-৬০টি টাইপ করা পৃষ্ঠা এবং প্রায় ৪০টি সাদা পাতায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন ডিআরআই আধিকারিকেরা।’’ এ ছাড়াও, রান্যা জানিয়েছেন, গ্রেফতারির পর টানা ২৪ ঘণ্টা তাঁকে কোনও খাবার কিংবা জল দেওয়া হয়নি। ঘুমোতেও দেওয়া হয়নি। এক টানা চলেছিল জিজ্ঞাসাবাদ। এর পরেও হেফাজতে প্রায়ই তাঁকে পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হত না বলে দাবি করেছেন রান্যা।
আরও পড়ুন:
গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে রান্যা একাধিক বার বয়ান পাল্টেছেন। শুরুতে সোনা পাচারে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন তিনি। তবে এখন রান্যার দাবি, তাঁকে বিমানবন্দরের টার্মিনালে নয়, বরং বিমানের ভিতরেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ না দিয়েই ডিআরআই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে নেয়। আসল দোষীদের বাঁচাতে তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন অভিনেত্রী।
সোনা পাচারের অভিযোগে সপ্তাহদুয়েক আগে দুবাই থেকে ফেরার সময় বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা। তল্লাশিতে তাঁর জামা এবং বেল্টের মধ্যে থেকে বেরিয়েছিল অন্তত ১৪ কেজি সোনা! উল্লেখ্য, গ্রেফতারির কয়েক দিন পর, হেফাজতে থাকা রান্যার একটি ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে (যার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অভিনেত্রীর চোখের নীচে কালি পড়ে গিয়েছে। ছবিতে মানসিক ভাবেও বিধ্বস্ত মনে হচ্ছে তাঁকে। তার মাঝেই রান্যার এই অভিযোগে নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে।