বিকাশ দুবের সঙ্গে গুড্ডন(ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে শুক্রবার নিহত হয় কানপুরের গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে। এনকাউন্টারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিকাশের দুই সহযোগীকে শনিবার মহারাষ্ট্রের ঠাণে থেকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশের এটিএস। ধৃত অরবিন্দ ওরফে গুড্ডন ত্রিবেদী এবং তার গাড়িচালক সুশীল কুমার ওরফে সোনু তিওয়ারি গ্যাংস্টার বিকাশের ঘনিষ্ঠ ছিল বলে পুলিশের দাবি।
মুম্বই এটিএস সূত্রে খবর, কানপুরে আট পুলিশকর্মীকে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল এই দু’জন। ঘটনার পর দিন থেকেই পলাতক ছিল তারা। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায়, কানপুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তি ঠাণেতে আত্মগোপন করে আছে। সেই খবর পেয়েই মুম্বই এটিএস-এর জুহু ইউনিট এ দিন সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযানে নামে। ঠাণের কোল্কশেট রোড থেকে গুড্ডন ও সোনুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশকর্মী খুনের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩০৭, ১২০(বি) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের সঙ্গে বহু মামলায় জড়িত ছিল এই গুড্ডন। ২০০১-এ উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সন্তোষ শুক্লকে খুনের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গুড্ডনকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক পুরস্কারেরও ঘোষণা করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার।
আরও পড়ুন: ‘পুলিশ যা করেছে, বেশ করেছে’, বললেন বিকাশ দুবের বাবা
শুক্রবারই পুলিশের হেফাজত থেকে পালাতে গিয়ে এনকাউন্টারে মারা যায় বিকাশ। গত ৩ জুলাই কানপুরে ৮ পুলিশকর্মীকে গুলি করে খুন করার পর থেকেই ফেরার ছিল সে। অবশেষে বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। গত কালই উত্তরপ্রদেশে নিয়ে আসার সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয় বিকাশের। বিকাশ ফেরার হওয়ার পর থেকেই খুনের ঘটনায় জড়িত তার শাগরেদদের ধড়পাকড় শুরু করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে পাঁচ শাগরেদের মৃত্যু হয়। শুধু বিকাশকে কোনও ভাবেই নাগালে পাচ্ছিল না পুলিশ।
বিকাশের এনকাউন্টার নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। এনকাউন্টার নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy