ভারত বায়োটেকের কর্ণধার কৃষ্ণ এম এল্লা এবং সিরাম সংস্থার কর্ণধার আদার পুনাওয়ালা।
আপাতত সন্ধি! বাগ্যুদ্ধ বন্ধ করে মসৃণ ভাবে দেশ তথা বিশ্বের জন্য কোভিড প্রতিষেধক সরবরাহ করার অঙ্গীকার নিল পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট ও হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক সংস্থা।
গত রবিবার জরুরি ভিত্তিতে এ দেশে ব্যবহারের প্রশ্নে ছাড়পত্র পায় দুই সংস্থার প্রতিষেধক। তার পর থেকেই দুই সংস্থাই নেমে পড়েছিল কাদা ছোড়াছুড়িতে। প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে কোভিশিল্ড প্রতিষেধকের উৎপাদনকারী সিরাম সংস্থার কর্ণধার আদার পুনাওয়ালার দাবি ছিল, কোভিশিল্ড, মডার্না ও ফাইজার বাদে বাকিদের প্রতিষেধক জলের মতোই নিরাপদ। পাল্টা আক্রমণে ভারত বায়োটেকের কর্ণধার কৃষ্ণ এম এল্লা বলে বসেন, তাদের প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুব নগণ্য। মাত্র দশ শতাংশ। সেখানে কোভিশিল্ডের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ৬০ শতাংশের বেশি।
প্রকাশ্য বিবাদের জেরে জনমানসে প্রতিষেধকের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে শুরু করে। মূলত বাজার ধরার প্রশ্নে দুই সংস্থার লড়াই গণটিকাকরণে প্রভাব ফেলতে পারে বলেই আশঙ্কায় সরব হন চিকিৎসক সমাজের একাংশ। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
এই পরিস্থিতিতে আজ দুপুরে এক জোট হয়ে লড়ার কথা ঘোষণা করে বিবৃতি দেন দুই সংস্থার প্রধান। সূত্রের মতে, সরকারের একেবারে শীর্ষ স্তর থেকে দুই সংস্থাকে বার্তা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, দুই সংস্থার ওই যুদ্ধ মোটেই ভাল ভাবে নিচ্ছে না সরকার। উল্টে বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রয়োজন এক সঙ্গে কাজ করার। সরকারের পক্ষে এই বার্তাও দেওয়া হয়, সমস্ত বিবাদ ভুলে এক সঙ্গে কাজ করার প্রশ্নে যৌথ ভাবে মুখ খুলুক দুই সংস্থা। তার পরেই যৌথ বিবৃতিতে আধার পুনাওয়ালা ও কৃষ্ণ এল্লা জানান, ভারত-তথা বিশ্বের জন্য যৌথ ভাবে প্রতিষেধক উৎপাদন ও তা সরবরাহ করাই হবে দুই সংস্থার লক্ষ্য। বিবৃতিতে দুই কর্ণধার জানান, তাঁদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ, ভারত তথা বিশ্বের মানুষের জীবন ও জীবিকাকে রক্ষা করা। জনস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ওই প্রতিষেধক জীবন বাঁচানোর সঙ্গেই অর্থনীতিকে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার ক্ষমতা রাখে।
বিবৃবিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিষেধক উৎপাদন, সরবরাহ ও বণ্টনের উপরে মূলত জোর দেওয়া হবে। যাতে যাঁদের প্রয়োজন, তাঁরা উচ্চমানের নিরাপদ ও কার্যকর প্রতিষেধক পেতে পারেন। দু’টি সংস্থাই একে দেশ ও বিশ্বের প্রতি তাদের কর্তব্য বলে জানিয়েছে। বিবৃতির শেষে দুই কর্ণধার জানান, ভারতের মতো দেশের মানুষের জন্য প্রতিষেধক কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা তাঁরা জানেন। সে কারণে তাদের প্রতিষেধক যাতে বিশ্বের মানুষ পেতে পারেন, সেই অঙ্গীকার করছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy