প্রতীকী ছবি।
জীবিত উদ্ধার করা গেল না লিটন নাথকে। অপহরণের সাত সপ্তাহ পর মাটি খুঁড়ে তাঁর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। গত ১২ তারিখ ধরা পড়া চার জঙ্গির অন্যতম, এনএলএফটি-র স্বঘোষিত ‘লেফটেন্যান্ট’ গঙ্গা রিয়াং ওরফে বাইলাং-কে জিজ্ঞাসাবাদ করে লিটনের দেহের খোঁজ মিলেছে।
উত্তর ত্রিপুরা জেলার এসপি ভানুপদ চক্রবর্তী জানান, শুক্রবার ভোরে দামছড়া থানা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে মিজোরাম সীমান্তের কাছে রানির খামার এলাকা থেকে মাটির নীচ থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়। দেহের পচন দেখে মনে করা হচ্ছে, বেশ কয়েক দিন হত্যা করা হয়েছে তাকে। ময়না-তদন্তের জন্যে দেহটি পানিসাগর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দেহটি শনাক্ত করার জন্য লিটনের স্ত্রী শিপ্রা নাথকে সেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গত ২৭ নভেম্বর গভীর রাতে দামছড়া থানা এলাকার জয়রাম পাড়ায় মাছ ব্যবসায়ী লিটনের বাড়িতে হানা দিয়ে লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। লিটনকে তুলে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় মুক্তিপণ বাবদ দেড় লক্ষ টাকা দাবি করেছিল তারা। লিটনকে উদ্ধার করতে পুলিশ ত্রিপুরা ও অসমের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল। কিন্তু এই ঘটনায় দু’রাজ্য মিলিয়ে মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করলেও, লিটনের হদিস পাচ্ছিল না। গত মঙ্গলবার সিপাহিজলা জেলার অর্জুন ঠাকুর পাড়া থেকে সশস্ত্র চার এনএলএফটি জঙ্গিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তাদের এক জন, গঙ্গা রিয়াংকে বৃহস্পতিবার জম্পুইজলা থানায় দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। টানা জেরার মুখে সে জানায়, লিটনকে মেরে কোথায় পুঁতে রেখেছে তারা। সে রাতেই সিপাহিজলা জেলার পুলিশ তাকে নিয়ে উত্তর জেলায় দামছড়া থানা এলাকাতে চলে যায়। লিটনের দেহের সন্ধানে যোগ দেয় উত্তর জেলার পুলিশও। গঙ্গা গাছগাছালির মাঝে একটি জায়গা দেখিয়ে দিলে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় পচন ধরা দেহটি।
বাড়িতে চার নাবালক সন্তান নিয়ে গত ৪৯ দিন ধরে অনিশ্চিয়তার মধ্যে দিন কাটছিল শিপ্রার। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক বিনয়ভূষণ দাস জানাচ্ছেন, তাঁরা যে ত্রিপুরার বাসিন্দা, এমন নথি দেখাতে পারেননি। তাই এখনও পরিবারটি সরকারি সাহায্যও পায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy