দক্ষিণ হাইলাকান্দির উপজাতি এলাকায় দুষ্কৃতী তাণ্ডবে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন। অভিযোগ, বিভিন্ন অপকর্ম করেও অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে এলাকা ও আশপাশ অঞ্চলের দুষ্কৃতীরা। আর নিষ্ক্রিয় পুলিশ। এমনকী ধর্ষণের চেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত অপরাধীকেও ধরতে পুলিশ গড়িমসি করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
হাইলাকান্দি জেলা ট্রাইবাল সঙ্ঘের অভিযোগ, গত ১৭ মে হাইলাকান্দি জেলার লালা থানার ধলছড়া-বিলাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুন্দালালা গ্রামের এক বিধবা বরাত জোরে ধর্ষণকারীর খপ্পর থেকে রক্ষা পেয়েছেন। কুন্দানালার বাসিন্দা ওই বিধবা মহিলা জুম চাষের কাজে ব্যস্ত থাকার সময় জনৈক ইসলামউদ্দিন ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত মহিলার চিৎকারে আশপাশের জুম চাষিরা ছুটে এলে ইসলাম পালিয়ে যায়। ঘটনার পর, গত ১৯ মে আক্রান্ত মহিলা লালা থানায় ঘটনার বিবরণ জানিয়ে একটি এফআইআর দায়ের করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি। উপরন্তু অভিযুক্তের তরফে অভিযোগকারী মহিলাকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে বলেও ট্রাইবাল সঙ্ঘের তরফে রাজেন্দ্র রিয়াং অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে লালা থানার ও সি আর রাজবংশীর বক্তব্য, ‘‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।’’ এ ছাড়াও ইদানিংকালে দক্ষিণ হাইলাকান্দির ধলছড়া-বিলাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুন্দানালা, নুনাই ইত্যাদি এলাকার উপজাতি গ্রামে দুষ্কৃতীরা রাতে হানা দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজেন্দ্র রিয়াং। তাঁর কথায়, ‘‘উপজাতিদের জমি দখল, মহিলাদের হেনস্থা করা এবং জুম চাষ নষ্ট করা-সহ বিভিন্ন ভাবে শান্তিপ্রিয় উপজাতিদের জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে।’’ পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।
অপহৃত কিশোরী পালিয়ে বাঁচল। খোদ রাজধানী গুয়াহাটির ব্যস্ত এলাকায়, স্কুলের সামনে থেকে এক ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা করা হল। তবে অপহরণকারীদের কবল থেকে পালাতে সক্ষম হয় পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী। গুয়াহাটির গীতামন্দির এলাকার গুরুকুল গ্রামার স্কুলের ছাত্রী মূর্চ্ছনা নাথ জানায়, গত কাল বিকেলে ছুটি হওয়ার পরে সে যখন অভিভাবকদের জন্য অপেক্ষা করছিল, তখনই অচেনা এক ব্যক্তি তার মুখ বন্ধ করে তাকে একটি গাড়িতে তুলে নেয়। কিছুক্ষণ পরে নারকেল বস্তি এলাকায় গাড়িটি থামলে, গাড়ির দরজা খুলে অপহরণকারীরা নামে। সুযোগ বুঝে খোলা দরজা দিয়ে মূর্চ্ছনাও বেরিয়ে এসে দৌড়তে থাকে। হাতিগড় চারিয়ালি পৌঁছে একটি দোকানের মালকিনের কাছ থেকে ফোন নিয়ে সে বাড়িতে ফোন করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy