পাড়ার বাচ্চাগুলোর কাছে সে ‘মামা’ নামেই পরিচিত। সারাদিন ফেরি করে বাড়ি ফেরার পথে সব ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলোকে লজেন্স-বিস্কুট দিত। কিন্তু সেই ‘মামা’ই যে এক জন সিরিয়াল রেপিস্ট ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি বাসিন্দারা। ২১ বছরের জনি ঘোষ। খেলনা বিক্রেতা। দিল্লির চাণক্যপুরীর এক বস্তিতে একচিলতে ঘরে একাই থাকত। এক দিন সেই ‘মামা’র আসল রূপ ধরা পড়ল। তা-ও আবার এক নাবালিকার সাহসিকতায়। সে-ও জনির লালসার শিকার হয়েছিল। নিজের কাকিমাকে সাহস করে জানিয়েছিল মেয়েটি। দু’মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করেছে সকলের পাড়াতুতো ‘মামা’। পুলিশে অভিযোগ জানায় মেয়েটির পরিবার। জনিকে গ্রেফতারও করা হয়। প্রথমে স্বীকার করতে না চাইলেও পরে জনি পুলিশকে জনান একজন নয়, বস্তির অনেক বাচ্চা মেয়েকেই সে তার লালসার শিকার বানিয়েছে। বিশেষ করে ৭-১২ বছরের মেয়েদের।
বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ৯ বছরের মেয়েটির ঘটনাকে কেন্দ্র করে। তারা দুই বোন। মা-বাবা কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর দুই বোনে জনির বাড়িতে যেত। সেখানেই তাকে জনি ধর্ষণ করত বলে জানিয়েছে মেয়েটি। তাকে হুমকিও দিয়েছিল। এই ঘটনা পাড়ারই একটি মেয়ে দেখে ফেলে। নির্যাতিতা মেয়েটিকে সত্যি ঘটনা বলার জন্য জোরাজোরি করে। না বললে বাড়িতে জানিয়ে দেবে বলেও ভয় দেখায় ওই মেয়েটি। তখন নির্যাটিতা মেয়েটি ভয় পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে কাকিমার কাছে পুরো বিষয়টি খুলে বলে। জনি অস্বীকার করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মারপিটও হয়। এই বিষয়টি যখন প্রকাশ্যে আসে, তখন বস্তির অন্য পরিবারগুলো থেকেও জনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে।
কী ভাবে জনি এই বাচ্চাগুলোকে শিকার বানাত?
পুলিশকে জনি জানিয়েছে, পরিচয়ের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সে বাচ্চাগুলোকে লজেন্স ও বিস্কুট এবং খেলনার লোভ দেখাত। তার পর তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মাদক মেশানো খাববার খাইয়ে ধর্ষণ করত। এক নয়, বস্তির একাধিক বাচ্চা মেয়েকে সে তার লালসার শিকার বানিয়েছে এই ভাবেই।
আরও পড়ুন...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy