সাদা ফেনায় ঢেকে গিয়েছে যমুনা। ছবি: পিটিআই।
কালিন্দী কুঞ্জের কাছে যমুনা নদীতে ভাসছে বিষাক্ত ফেনা। সাদা ফেনায় কার্যত ঢেকে গিয়েছে নদীবক্ষ। যেন মেঘ নেমে এসেছে যমুনায়! রবিবার সকালে সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রকাশিত একটি ভিডিয়োয় দেখা গেল এমনই দৃশ্য।
যদিও ছটপুজোর আগে যমুনার এই হাল দেখে মাথায় হাত প্রশাসনের। ফেনা সরাতে স্প্রে করা হচ্ছে রাসায়নিক ডিফোমার। গত সপ্তাহ থেকেই যমুনায় রাসায়নিক পদ্ধতিতে ফেনা সরানোর কাজে নেমে পড়েছে প্রশাসন। নদী পরিষ্কারের জন্য একটি পৃথক দলও গঠন করেছে দিল্লি জল বোর্ড।
অবশ্য দূষণের জন্য দিল্লির আপ সরকারকেই দুষেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, ‘‘এখানে এই ফেনার কারণ হল অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং আম আদমি পার্টির দুর্নীতি। এখন ছট পুজোর আগে তারা দায় এড়াতে রাসায়নিক ছিটিয়ে দিচ্ছে!’’ যদিও বিভিন্ন কারখানা থেকে রাসায়নিক বর্জ্য জলে এসে মেশার কারণে এই ফেনার সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদেরা। গত বছরেও এ রকমই ফেনা ভাসতে দেখা গিয়েছিল যমুনার জলে। দিল্লি জল বোর্ড সে বারও ফেনা সরাতে তৎপরতার সঙ্গে উদ্যোগী হয়েছিল। কিন্তু লাভ হয়নি।
অন্য দিকে, নভেম্বরের মাস পড়তেই দিল্লির বাতাসের গুণগত মান আরও পড়তে শুরু করেছে। রবিবার সকালেও রাজধানী ছিল ধোঁয়াশায় মোড়া। সকাল সাতটা নাগাদ বাতাসের গুণগত মান ছিল (একিউআই) ৩০০রও বেশি। কোথাও কোথাও একিউআই ৪০০ ছাড়িয়েছে। দিল্লির অক্ষরধাম এবং আনন্দ বিহারে বাতাসের গুণগত মান ছিল ৫৩২। যা ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। আলিপুরে ওই একই সময়ে একিউআই ছিল ৩১৮। পঞ্জাবি বাগের কাছে একিউআই ছিল ৩৮১। দীপাবলির আগে থেকেই খারাপ হতে শুরু করে রাজধানীর দূষণ পরিস্থিতি। দীপাবলি পেরোতেই বাতাসের গুণগত মান চড়চড় করে নামতে শুরু করেছে। সেই আবহেই প্রকাশ্যে এল যমুনার জলে ফেনা ভেসে বেড়ানোর ছবি।
যদিও দিল্লি সরকার দূষণ রোধের জন্য আগেভাগেই সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছে। গত সপ্তাহের গোড়াতেই মুখ্যমন্ত্রী অতিশী এবং পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই দূষণ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। দূষণ ঠেকাতে ৯৯টি দল গঠন করা হয়েছে। পূর্ত দফতর ২০০টি ‘অ্যান্টি স্মগ গান’ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দিল্লি পুরনিগমের পাশাপাশি দূষণ রোধে উদ্যোগী হয়েছে এনসিআরটিসি এবং দিল্লি মেট্রো সংস্থাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy