প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে হিমাচলে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা। ছবি: সংগৃহীত।
দীপাবলির আগে থেকে দিল্লির দূষণের ছবিটা ভয়াবহ। রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান প্রতি দিনই খারাপ থেকে আরও খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিন্তু দীপাবলির রাতে সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে দূষণের মাত্রা। রাজধানীবাসীদের অভিযোগ, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। রবিবার দিল্লির বাতাসের গুণগত মান ৩৬৪। যা অত্যন্ত খারাপ। আনন্দ বিহার, রোহিণীর অবস্থা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
দীপাবলির আগে থেকে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান নামতে শুরু করেছিল। দীপাবলির রাতে রাজধানীতে যে পরিমাণ বাজি ফেটেছে তার জেরে দূষণের মাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যায়। ঘন ধোঁয়ার চাদরে ঢেকে রয়েছে গোটা দিল্লি। তার সঙ্গে পঞ্জাব এবং হরিয়ানায় শস্যের গোড়া পোড়ানোর ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও ঘোরালো করে তুলেছে।
শুধু দিল্লিই নয়, পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ের বাতাসের গুণগত মান নেমেছে দীপাবলির পর থেকেই। তাই এই দূষণ থেকে বাঁচতে কয়েক দিনের জন্য মুক্ত বাতাসে প্রাণভরে শ্বাস নেওয়ার জন্য এই রাজ্যগুলি থেকে পর্যটকেরা হিমাচলকেই বেছে নিচ্ছেন। আর তাই দিল্লি, পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড় থেকে হিমাচলের শৈলশহরগুলিতে ভিড় বাড়ছে।
ধর্মশালা, মানালি, কুলু এবং সুন্দরনগরে বাতাসের গুণগত মান অনেক নিরাপদ। এমনটাই দাবি পরিবেশবিদ সুরেশ কুমার অত্রির। আগের বছরগুলির তুলনায় এখানে বাতাসের গুণগত মান ৩০-৪০ শতাংশ উন্নতি হয়েছে কম দূষণের কারণে। তাঁর কথায়, ‘‘উত্তর ভারতের অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় হিমাচলের বাতাসে দূষণ কম। স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। আর তাই পর্যটকেরা বার বারই হিমাচলকেই বেছে নিচ্ছেন।’’
দিল্লি থেকে আসা এক পর্যটক স্বাতী সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘‘দিল্লির তুলনায় হিমাচলের বাতাস অনেক শুদ্ধ। চারদিকে সবুজ। প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। দিল্লির অবস্থা ভয়াবহ। দূষণ আর ধোঁয়াশায় প্রাণ ওষ্ঠাগত। দূষণ থেকে কবে মুক্তি পাবে দিল্লি?’’
চণ্ডীগড়ের এক পর্যটক সঞ্জীব ভুতনির কণ্ঠে একই উদ্বেগ এবং আক্ষেপ ধরা পড়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘হিমাচলে এসে মনে হয় নিঃশ্বাস নিতে পারছি। চণ্ডীগড়ের বাতাসে বিষ বাড়ছে। দীপাবলির পরে এই ছবিটা আরও ভয়ানক হয়ে ওঠে প্রতি বছর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy