ভাইরাল ভিডিয়োর সেই দৃশ্য। একেবারে ডান দিকে, ছাই রঙের টিশার্ট পরে হাতে কাপ নিয়ে বসে আছেন খুনে অভিযুক্ত কন্নড় অভিনেতা দর্শন থুগুদিপা। ছবি: সংগৃহীত।
এক হাতে পানীয়ের কাপ অন্য হাতে সিগারেট নিয়ে খোশমেজাজে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। তাঁকে বসতে দেওয়া হয়েছে একটি সাজানো পার্কের মাঝামাঝি একটি চেয়ারে। সামনে টেবিল। পাশে হাসি মুখে গল্পগুজবে মেতে রয়েছে দাগি অপরাধীরা। খুনে অভিযুক্ত কন্নড় অভিনেতা দর্শন থুগুদিপার এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যা দেখলে বুঝতে বাকি থাকে না জেলের মধ্যেও কন্নড় তারকা ‘ভিআইপি’ সমাদর পাচ্ছেন (আনন্দবাজার অনলাইন ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। তবে ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচ়ড়ে বসেছে কর্নাটকের কারা দফতরও। জরুরি ভিত্তিতে তারা ডেকে পাঠিয়েছে ওই জেলের শীর্ষ আধিকারিকদের।
কর্নাটকের এক অটোচালককে খুনের অভিযোগ রয়েছে কন্নড় ছবির তারকা অভিনেতা দর্শনের বিরুদ্ধে। নিহত অটোচালকের নাম রেনুকাস্বামী। তাঁর বয়স ৩৩। তিনি দর্শনের ভক্ত ছিলেন বলেও জানিয়েছে তদন্তকারী পুলিশ। গত ৯ জুন রেনুকাস্বামীর দেহ পাওয়া যায় কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু শহরের একটি ফ্লাইওভারের কাছে। পরে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, রেনুকাস্বামী সমাজমাধ্যমে দর্শনের সঙ্গিনী অভিনেত্রী পবিত্র গৌড়ার নামে কিছু কুরুচিকর পোস্ট করেছিলেন। তদন্তকারীদের অনুমান সেই পোস্টের জন্যই দর্শনের নির্দেশে একটি গ্যাং রেনুকাস্বামীকে অপহরণ করে খুন করে। ওই ঘটনায় দর্শন, পবিত্র-সহ আরও ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে দর্শনকে ২৮ অগস্ট পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বেঙ্গালুরুর আদালত। তাঁকে রাখা হয়েছে বেঙ্গালুরুর পারাপ্পনা অগ্রহরা সেন্ট্রাল জেলে। তাঁর ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটি সেই জেলেরই বলে দাবি।
ভিডিয়োয় দর্শনের পরনে দেখা যাচ্ছে একটি ছাই রঙের টিশার্ট এবং কালো রঙের পাজামা। তাঁর হাতে একটি কালো রঙের বড় কাপে কোনও পানীয়। তাতে চুমুক দিতে দিতে অন্য হাতে সিগারেটে সুখটান দিচ্ছেন তিনি। মুখে হাসির রেখা। তার পাশে বসে রয়েছেন যাঁরা, তাঁদের প্রত্যেককেই দাগি অপরাধী বলে চিহ্নিত করেছে কর্নাটকের সংবাদমাধ্যমগুলি। তারা এ-ও জানিয়েছে দর্শনের ঠিক পাশটিতেই কালো পোশাক পরে বসে রয়েছেন যিনি, তিনি কুখ্যাত সমাজবিরোধী উইলসন গার্ডেন নাগা। তাঁর বিরুদ্ধে বহু অপরাধের মামলা রয়েছে। ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পরেই সেন্ট্রাল জেলের শীর্ষ আধিকারিকদের তলব করেছে কর্নাটকের কারা দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy