ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগের জবাব দিলেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ফাইল চিত্র।
বাংলায় টাকা-সহ ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের গ্রেফতারির ঘটনায় নাম জড়িয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার। কংগ্রেসের অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের মতো ঝাড়খণ্ডেও টাকা দিয়ে সরকার ফেলার ছক কষছে বিজেপি। ধৃত বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল অসমের মুখ্যমন্ত্রীর। অবশেষে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন হিমন্ত। ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ উড়িয়ে তাঁর পাল্টা দাবি, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক আছে। তবে সেটা ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক নয়।
রবিবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কংগ্রেসের একেবারে বড় নেতারাও আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। তবে আমরা রাজনীতি নিয়ে কথা বলি না।’’ এর পর তাঁর সংযুক্তি, ‘‘ওই দলে ২২টা বছর কাটিয়েছি তো।’’ উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন হিমন্ত।
শনিবার হাওড়া থেকে প্রায় ৪৯ লক্ষ টাকা নিয়ে গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক। কোথা থেকে এত টাকা পেলেন, কোথায় বা নিয়ে যা হচ্ছিল ওই টাকা, এর খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। পুলিশি জেরায় এক বিধায়ক দাবি করেছেন, বড়বাজারে শাড়ি কিনতে এসেছিলেন তাঁরা। আদিবাসীদের উৎসবে ওই শাড়ি বিতরণ হত। তবে এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের ছায়া দেখছে ধৃত বিধায়কের দল। কংগ্রেসের দাবি, ঝাড়খণ্ডেও বিধায়কদের টাকা দিয়ে সরকার ফেলার ছক কষছে বিজেপি।
এ নিয়ে ঝাড়খণ্ডের এক কংগ্রেস বিধায়ক থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। সেখানে তাঁর দাবি, হাওড়া পুলিশের হাতে ধৃত তিন বিধায়ক তাঁকেও কলকাতা যেতে বলেছিলেন। সেখানে থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। উদ্দেশ্য, ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস জোট সরকার ফেলে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা করা। এ নিয়ে হিমন্তের প্রতিক্রিয়া, ‘‘কেন এফআইআর হল জানি না।’’ অসমের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, অহেতুক তাঁর নাম টেনে এনে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy