ফাইল চিত্র।
বাদল অধিবেশনের প্রাক্কালে সংসদ কক্ষে ব্যবহৃত একাধিক শব্দকে ‘অসংসদীয়’ তকমা দিয়ে নিষিদ্ধ করেছে মোদী সরকার। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এ বার গর্জে উঠলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
কেন্দ্রের এই নয়া নির্দেশকে কটাক্ষ করে ২০১৩ সালে লোকসভার তৎকালীন স্পিকার মীরা কুমারের বাচনভঙ্গির কায়দায় টুইটারে মহুয়া লিখেছেন, ‘বৈঠ যাইয়ে, বৈঠ জাইয়ে... প্রেম সে বোলিয়ে’ (বাংলায়— বসে পড়ুন, ভালবেসে বলুন)। উল্লেখ্য, সংসদে হই-হট্টগোলের সময় এ ভাবেই শান্ত করতে দেখা যেত মীরা কুমারকে।
Baith jaiye. Baith Jaiye. Prem se boliye.
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) July 14, 2022
New list of unparliamentary words for LS & RS does not include Sanghi.
Basically govt taken all words used by opposition to describe how BJP destroying India & banned them.
টুইটারে তৃণমূল সাংসদ আরও লিখেছেন, ‘লোকসভা ও রাজ্যসভায় নতুন অসংসদীয় শব্দের তালিকায় সঙ্ঘিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আসলে কী ভাবে ভারতকে ধ্বংস করছে বিজেপি, তার বর্ণনা দিতে গিয়ে বিরোধীরা যে শব্দ ব্যবহার করত, তা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।’
প্রসঙ্গত, লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন চলাকালীন বেশ কিছু শব্দের প্রয়োগের উপর বুধবার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় লোকসভা সচিবালয়ের তরফে। প্রকাশিত ‘অংসসদীয় শব্দের’ তালিকায় রয়েছে, ‘লজ্জাজনক’, ‘অপব্যবহার’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘নাটক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘অযোগ্য’ ‘ভণ্ডামি’র মতো বেশ কিছু শব্দ। সংসদের অধিবেশনে ‘নৈরাজ্যবাদী’, ‘শকুনি’, ‘স্বৈরাচারী’, ‘খলিস্তানি’, ‘বিনাশপুরুষ’। সাংসদদের জন্য প্রকাশিত পুস্তিকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে, ‘জুমলাবাজি’, ‘কোভিড স্প্রেডার’, ‘খুন সে ক্ষেতি’ (রক্ত দিয়ে চাষ), ‘স্নুপগেট’-এর মতো কিছু শব্দবন্ধ। ঘটনাচক্রে, প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করতে এর মধ্যে একাধিক শব্দ ও শব্দবন্ধ অতীতে বিরোধীরা প্রয়োগ করেছেন। সংসদে বিরোধী স্বরের কণ্ঠরোধ করতেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি করেছে বিরোধীদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy