Advertisement
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Jawhar Sircar

ধনখড়কে পদত্যাগপত্র দিলেন জহর সরকার, রাজ্যসভায় তৃণমূলের শক্তি কমে কত হল?

আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে রবিবার তৃণমূলের সাংসদ পদ ছাড়ার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন জহর সরকার।

বাঁ দিকে জগদীপ ধনখড়, ডান দিকে জহর সরকার।

বাঁ দিকে জগদীপ ধনখড়, ডান দিকে জহর সরকার। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩১
Share: Save:

আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখি রবিবার সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভা চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে পদত্যাগপত্র পাঠালেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার। সংসদীয় বিধি মেনে বৃহস্পতিবার দুপুরে দিল্লিতে ধনখড়ের সশরীরে দফতরে হাজির হয়ে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন জহর।

জহরের ইস্তফার ফলে সংসদের উচ্চকক্ষে তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা কমে হল ১২। পশ্চিমবঙ্গের ১৬টি রাজ্যসভা আসনের মধ্যে একটি খালি হয়ে গেল। তৃণমূলের ১২ জন ছাড়াও এ রাজ্য থেকে বিজেপির দুই এবং বামেদের এক জন রাজ্যসভা সাংসদ রইলেন। প্রসঙ্গত, ২০২২ শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার কিছু দিন পরেই গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরেই দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন জহর। দলের এক দিক পচে গিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। বাড়ির লোকেরা ও বন্ধুবান্ধবেরা তাঁকে রাজনীতি ছাড়তে বলেছেন বলেও দাবি করেছিলেন।

গত রবিবার আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে দলীয় অবস্থানের বিরোধিতা করে মমতাকে চিঠিতে জহর লেখেন, ‘‘মাননীয়া মহোদয়া, বিশ্বাস করুন এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ও রাগের বহিঃপ্রকাশ আমরা সবাই দেখছি, এর মূল কারণ কতিপয় পছন্দের আমলা ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশিশক্তির আস্ফালন। আমার এত বছরের জীবনে এমন ক্ষোভ ও সরকারের প্রতি সম্পূর্ণ অনাস্থা আগে কখনও দেখিনি।’’ আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরুর পরে তাকে বাম-বিজেপির আন্দোলন বলে দাবি করেছিলেন মমতা। সেই পথে হেঁটে তৃণমূলের অন্য নেতারাও সেই দাবি করতে শুরু করেছিলেন প্রকাশ্যে। চিঠিতে সেই প্রবণতার নিন্দা করে জহর লেখেন, ‘‘আমার বিশ্বাস, এই আন্দোলনে পথে নামা মানুষেরা অরাজনৈতিক এবং স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রতিবাদ করছেন। অতএব রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে এই আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা সমীচীন হবে না। এঁরা কেউ রাজনীতি পছন্দ করেন না। শুধু একবাক্যে বিচার ও শাস্তির দাবি তুলেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE