Advertisement
২৪ অক্টোবর ২০২৪
Assam Orang National Park

বাঘের হানায় মৃত্যু বনরক্ষীর, অসমের ওরাং জাতীয় উদ্যানে মিলল ক্ষতবিক্ষত দেহ

দেহাংশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে এমন ঘটল, তাও খতিয়ে দেখছে বন দফতর। তাদের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৪ ১৬:৫৮
Share: Save:

অসমের ওরাং জাতীয় উদ্যানে মিলল বনরক্ষীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। বুধবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, বাঘের হানায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

নিহত বনরক্ষীর নাম ধানমনি ডেকা (২৫)। তিনি দারাং জেলার বাসিন্দা। বুধবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। বেশ কিছু ক্ষণ পর সহকর্মীরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। শেষমেশ রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁর দেহাংশ উদ্ধার হয়। শরীরে আঁচড়-কামড়ের দাগ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, তাঁর শরীরের এক অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। উদ্ধার হওয়া অংশেও রয়েছে একাধিক গভীর ক্ষত। তাতেই মনে করা হচ্ছে, কোনও হিংস্র বন্যপ্রাণীর আক্রমণে প্রাণ গিয়েছে তাঁর। দারাং পুলিশের এসপি প্রকাশ সোনোয়াল বলেন, ‘‘মৃত বনরক্ষীর শরীরের আঘাতগুলি দেখে মনে হচ্ছে, সম্ভবত বাঘের হানা। হামলার পর তাঁকে টেনে বেশ কিছু দূর অবধি নিয়ে গিয়েছে ঘাতক। খুবলে নেওয়া হয়েছে দেহের একাংশ।’’

দেহাংশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী ভাবে এমন ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে বন দফতর। তাদের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

নিহত রক্ষীর পরিবার জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় একা ডিউটি করছিলেন তিনি। ওই রক্ষীর কাছে ছিল না আগ্নেয়াস্ত্রও। মৃতের পরিজনদের প্রশ্ন, হিংস্র জন্তুর আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে, এমন এলাকায় কী করে এক জন নিরস্ত্র রক্ষীকে একা বহাল করতে পারে বন দফতর। ঘটনার তদন্তের দাবি করেছেন তাঁরাও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE